সংক্ষিপ্ত

বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের হিসেবের বাইরে রাখা যাবে না। আগ্রাসন ও স্থিতধী ব্যাটসম্য়ানদের ভারসাম্য রাখলেও বোলিং একেবারেই পেস নির্ভর। বিশ্বকাপে পাটা পিচে রিস্ট স্পিনারের অভাব বড় হে যেতে রপারে। বু শেষ চারে ক্যারিবিয়ানদের দেখা যেতেই পারে।

দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে এইবার বিশ্বকাপের টিকিট জোগার করতে হয়েছে আইসিসি-র যোগ্যতা অর্জনের টুর্নামেন্ট খেলে। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে দারুণ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৭ বছরের গেইল আর দুরন্ত ফর্মে থাকা রাসেলের সংযোজনে তাদের শক্তি আরও বাড়বে। কাজেই বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

এই নিয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলবেন গেইল। রাসেল, ব্রাভো, রোট-রা খেলবেন তৃতীয়, আর অধিনায়ক হোল্ডারের এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। তবে খারাপ ফর্মের জন্য দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ পোলার্ড, রোভম্যান পাওয়েল, মার্লন স্যামুয়েলসদের। তার বদলে নতুন কিছু আকর্ষণীয় তরুণ তারকাকে দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আগ্রাসনের সঙ্গে ধরে খেলার মতো খেলোয়াড় জুড়ে সব দিক থেকেই ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

গোড়া পত্তন করবেন ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচে গেইল ৪২৪ রান করেছেন। তাঁদের তাণ্ডবের পর আসবেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শাই হোপ। তিনি কিন্তু, ততটা আগ্রাসী নন। বরং একদিক ধরে রেখে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করতেই পছন্দ করেন। তার পরে সম্ভবত আসবেন আরেক আগ্রাসী ব্য়াটসম্য়ৈান ড্যারেন ব্রাভো। তিনিও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজেই একদিনের দলে ফিরে এসে যথেষ্ট প্রভাবিত করেছেন।

এরপর ব্যাট হাতে আসবেন আন্দ্রে রাসেল। কেকেআর-এর হয়ে আইপিএল-এ তিনি প্রায় অপ্রতিরোধ্য ফর্মে রয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং - কোনও বিভাগেই তাঁকে রোখা যাচ্ছে না। চোট সমস্যায় না ভুগলে কিন্তু একা রাসেলই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপে বহুদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং অবশ্য একেবারেই পেস সম্বৃদ্ধ। আঙুলের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় ১০ ওবারে বল করতে পারবেন না। তাই দলে জায়গা হয়নি সুনীল নারাইনের। দলে জায়গা করে নেওয়ার মতো খেলতে পারেননি দেবেন্দ্র বিশুও। স্পিন আক্রমণ বলে ভরসা অফস্পিনার অলরাউন্ডার ফাবিয়ান অ্যালেন ও অ্যাশলি নার্স।

৫ বোলারের পেস ব্যাটারি নিয়ে বিশ্বকাপে  আসছে ক্যারিবিয়ানরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে ওসানে থমাস ও শেলডন কটরেল যথাক্রমে ৯টি ও ৭টি করে উইকেট নিয়েছেন। তাঁদের পাশাপাশি তীব্র গতি রয়েছে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল-এরও। আর এই তরুণদের নেতৃত্ব দেবেন কেমার রোচ ও হোল্ডার।

যোগ্যতা অর্জন টুর্নামেন্ট খেলার সময়ের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের তফাত অনেকটাই। এইবার যখন সব দেশই প্রায় একাধিক রিস্ট স্পিনার মজুত করেছে দলে, সেখানে ক্যারিবিয়ান দলে রিস্ট স্পিনারের অভাবটা পাটা পিচে বড় হয়ে উঠতে পারে। তবে ক্যারিবিয়ান পেস ব্যাটারি তাদের প্রতিভার স্দ্ব্যবহার করতে পারলে এই অভাব পূরণ করা যেতে পারে। আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হতে পারে চোট-আঘাত। গেইল, রাসেল, রোচ, লুইস প্রত্যেকেরই অল্প বিস্তর চোটের সমস্যা রয়েছে। তবে তারপরেও বলা যায় এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না।  

ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এর বিশ্বকাপের দল

জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), এভিন লুইস, ড্যারেন ব্রাভো, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্রেথওয়েট, নিকোলাস পুরান, ওশানে থমাস, শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), শিমরন হেটমায়ার, ফাবিয়ান অ্যালেন, শেলডন কটরেল, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ এবং অ্যাশলি নার্স।