সংক্ষিপ্ত

  • ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড জমজমাট মোকাবিলা হতে চলেছে
  • দুই দলেই তারকার অভাব নেই
  • ব্য়াটসম্য়ানরা সবাই রানের মধ্যে
  • দুই দলের বোলাররাও দারুণ করছেন

 

বিশ্বকাপ ২০১৯ নিয়ে যে প্রত্যাশা ছিল তা এখনও পূর্ণ হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার টেন্ট ব্রিজেই একটি আকর্ষণীয় ম্যাচ আশা করছে ক্রিকেট দুনিয়া। এখনও পর্যন্ত ভারত ও নিউজিল্যান্ড দুই দলই অপরাজিত। টেন্ট ব্রিজের উইকেট একদিকে যেমন ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ, তেমনই আকাশে মেঘ থাকলে কিন্তু বল নড়াচড়াও করবে। এদিকে এই জমজমাট মোকাবিলার আগেই কেন উইলিয়ামসন, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রস টেলরদের মতো দুই দলের তারকা ব্য়াটসম্যানরা রান পেয়েছেন। বোলরারাও বেশ ভাল বল করেছেন। কাজেই দুই দলের ক্রিকেট যুদ্ধটা যে দারুণ রোমাঞ্চকর হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।

কোনও বড় যুদ্ধ জিততে গেলে যেমন ছোট ছোট লড়াইগুলো জিততে হয়, তেমনই ভারত-নিউজিল্যান্ড মোকাহবিলার ক্ষেত্রেও তফাত গড়ে দিতে পারে তিনটি মুখ্য লড়াই। যেগুলি জিততে পারলে ম্যাচও পকেটে পুড়ে ফেলা যাবে।

ট্রেন্ট বোল্ড বনাম ভারতের প্রথম তিন

ভারতের কোনও ব্য়াটসম্য়ানই বল নড়া চড়া করলে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। গত কয়েক বছরে ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে বারবার বাঁ হাতি সুইং বোলারদের সামনে ধরাশায়ী হতে দেখা গিয়েছে। শিখর ধাওয়ানের বদলে সম্ভবত এই ম্যাচে ওপেন করবেন কেএল রাহুল। তিনিও সুইং বোলিং-এর সামনে বিশেষ ভরসার নন। চলতি বিশ্বকাপের অনুশীলন ম্যাচেই বোল্ট একবার ভারতীয় ব্যাটিং-কে শুইয়ে দিয়েছেন। ট্রেন্ট ব্রিজে পাটা উইকেট হলেও আকাশে মেঘ থাকার সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে বোল্ট বনাম ভারতের টপ অর্ডার - লড়াই কিন্তু জমে যাবে।

নিউজিল্যান্ড মিডল অর্ডার বনাম ভারতের স্পিনার

নিউজিল্যান্ডের প্রধান শক্তি তাদের মিডল অর্ডার। আছেন কেইন উইলিয়ামসন রস টেলর জুটি। যারা বহু ম্যাচ দায়িত্ব নিয়ে জিতিয়েছেন। তাঁদের যোগ্য সমর্থন দেন টম ল্যাথাম। অন্যদিকে  ভারত মাঝের ওভারে প্রতিপক্ষের সামনে ছেড়ে দেয় তাদের স্পিন জুটি কুল-চা'কে। এখনও অবধি পুরোপুরি ছন্দে দেখা যায়নি কুপলদীপকে। চাহাল কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ভাল বল করছেন। রান আটকানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা উইকেটও তুলতে পারেন। যেটা ভারতের গত কয়েক বছরের সাফল্যের অন্যতম কারণ। তবে কিউইদের সামনে তাদের কাজটা সহজ হবে না। উইলিয়ামসন এবং ল্যাথাম দুজনএই স্পিনটা বেশ ভাল খেলেন।

হার্দিক পাণ্ডিয়া বনাম মিচেল স্যান্টনার

ভারতের ইনিংসের শেষ দিকে হার্দিক পাণ্ডিয়ার ইনিংস কিন্তু এই বিশ্বকাপে  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ক্যারিবিয়ানদের মতোই গায়ের জোরে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠানোর ক্ষমতা রাখেন হার্দিক। বিশেষ করে স্পিনারদের ওড়াতে খুবই পছন্দ করেন। অন্যদিকে মিচেল স্যান্টনার তাঁর সীমিত ক্ষমতাকে দারুণবাবে কাজে লাগাতে পরেন। তার বোলিং-এর সেরা অস্ত্র মগজাস্ত্র। ব্.য়াটসম্য়ানের মন পড়ে তিনি বলের গতি, লাইন লেন্থের হেরফের ঘটিয়ে ধাঁধা তৈরি করতে সিদ্ধহস্ত। হার্দিক বনাম স্য়ান্টনার লড়াই কিন্তু ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে।