সংক্ষিপ্ত

অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের (Australia vs England) অ্যাসেজ ২০২১-২২ (Ashes 2021-22) -এর প্রথম টেস্ট।  টস জিতে ব্য়াটিং নিলেও ১৪৭ রানে অল আউট জো রুটের (Joe Root)দল। অভিনায়ক হিসেব অভিষেক ৫ উইকেট নিয়ে নজির গড়লেন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)।
 

টস হেরেছিলেন ঠিকই। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা স্বপ্নের করলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার তথা টেস্ট ক্রিকেটে পয়লা নম্বর প্যাট কামিন্স  (Pat Cummins)। অ্য়াসেজ ২০২১-২২(Ashes 2021-22) -এর প্রথম টেস্ট গাব্বায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট (Joe Root)। কিন্তু আগুনে অজি পেস অ্যাটাকের সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্য়াটিং লাইন। মাত্র ১৪৭ রানে অল আউট হয়ে য়ায় ব্রিটিশ লায়ন্সরা (British Lions)। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন জস বাটলার (Josh Buttler)। ব্যাগি গ্রিনদের হয়ে ৫ উইকেট নিয়ে অনন্য নজির গড়লেন  অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান  মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc)ও জস হ্যাজেলউড (Josh Hazlewood)। একটি উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন। 

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই ৫উইকেট নিয়ে রেকর্ড বুকে নাম তুললেন  প্যাট কামিন্স। অজি অধিনায়কেপ পেস-সুইংয়ের সামনে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ইংল্য়ান্ডে ব্যাটসম্যান।  তার ৫উইকেটের সুবাদেই ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।  অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজে এক ইনিংসে ৫ উইকেট ও দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবেই অভিষেকে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। এর আগে ১৮৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন জর্জ গ্রিফিন। মেলবোর্নে ১৫৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ১২৭ বছর পরে সেই রেকর্ড স্পর্শ করলেন কামিন্স। অন্য দিকে ১৯৮২ সালে প্রথম অজি অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বব উইলিস। ৩৯ বছর পরে সেই রেকর্জ ছুঁলেন কামিন্স।  ১৩.১ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন কামিন্স। অদিনায়ক হিসেবে এমন শুরু করতে পেরে ও দলকে সাফল্য এনে দিতে পেরে খুশি কামিন্স।

প্রসঙ্গত, এদিন টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম থেকেই শুরুটা ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। শূন্যরানেই প্রথম উইকেট পড়ে অস্ট্রেলিয়ার। মিচেল স্টার্তের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান রোরি বার্নস। ডেভিড মালানকে প্রথম ডাউন পাঠালেও কোনও লাভ হয়নি ইংল্যান্ডের। ১১ রানে দ্বিতীয় পড়ে। হ্যাজেলউডের বলে ৬ রান করে আউট হন মালান। কই রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। এবার দলের সবথেকে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্য়ান ও অধিনায়কের উইকেট হারায় দল। হ্যাজেলউডের বলে খাতা না খুলেই আউট হন জো রুট। দীর্ঘ দিন পর মাঠে ফিরে ব্যাট হাতে রান পাননি বেন স্টোকসও। ৫ রান করে প্যাট কামিন্সের শিকার হন তিনি। ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ব্রিটিশ লায়ন্সরা।

হাসিব হামিস ও অলি পোপ কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬০ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের।২৫ রান করে কামিন্সের বলে আউট হন হামিদ। এরপর অলি পোপ ও জস বাটলার ৫২ রানের পার্টনারশিপ করে। দলের ১১২ রানের মাথায় ৩৯ রানে করে করে স্টার্কের বলে আউট হন বাটলার। তারপরই সপ্তম উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। ৩৫ রান করে ক্যামেরন গ্রিনের বলে আউট হন অলি পোপ। এরপর একদিক থেকে ক্রিস ওকস কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু  ১২২ রানে অষ্টম  ও ১৪৪ রানে নবম ও ১৪৭ রানে শেষ উইকেট পড়ে ইংল্য়ান্ডের। ৩টি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। অলি রবিনসম ০, মার্ক উড ৮, ক্রিস ওকস করেন ২১ রান। ১৪৭ রানে শেষ ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর বৃষ্টির কারণে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ খেলা।