সংক্ষিপ্ত

একটি ম্য়াচও না হেরে আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২২ (ICC Womens World cup 2022) চ্যাম্পিয়ন হল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। ফাইনালে ইংল্য়ান্ডকে হারাল ৭১ রানে। সপ্তমবারের জন্য বিশ্বকাপ জিতল অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল।
 

শুরু থেকে শেষ, দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করে আইসিসি মহিলা একদদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২২ চ্যাম্পিয়ব হল অস্ট্রেলিয়া। একটিও ম্য়াচ না হেরে ট্রফি জিতল ব্য়াগি গ্রিনরা। এই নিয়ে সপ্তমবারের জন্য মহিলা একদিনের ক্রিকেট বিশ্ব সেরা হল অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে অজিদের চিরাচরিত স্বভাব বজায় রেখে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে লড়াই করার কোনও জায়গায় দিল অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল। প্রথমে  ব্যাট করে ফাইনালের মতো মেগা ম্য়াচে ৩৫৬ রানের বিশাল স্কোর  করে অধিনায়ক মেগ লানিংয়ের টিম অস্ট্রেলিয়া। প্রতিযোগিতার দুরন্ত ফর্ম ধরে রেখে বিশ্বকাপের ফাইনালে অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭০ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেন আলিসা হেলি। এছাড়া ৬৮ রান করেন রাচেল হেইনস ও ৬২ রান করেন বেথ মুনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট  হারিয়ে ৩৫৬ করে অজিরা। রান তাড়া করতে নেমে ইংল্য়ান্ডের হয়ে একা ন্য়াট সিভার ১৪৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অন্যান্য ব্য়াটসম্য়ানদের ব্যর্থতায় শেষ রক্ষা হয়নি। ৪৩ ওভার ৪ বলেই ২৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৭১ রানে ম্য়াচ জিতে বিশ্বজয় করে অস্ট্রেলিয়া। 

ফাইনালের মত বড় ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্য়ান্ডের অধিনায়ক হেদার নাইট। সেই সিদ্ধান্তই কাল হয়ে দাঁড়ায় ব্রিটিশদের জন্য। ওপেন করতে নেমে প্রথম থেকেই মারকাটারি ইনিংস খেলতে শুরু করেন আলিসা হেলি। অপরদিক থেকে ঠান্ডা মাথায় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাতেল হেইনস। দুজনেই অর্ধশতরান পূরণ করেন। প্রথম উইকেটে ১৬০ রানের পার্টনারশিপ করে ফাইনালে দলের ভিত মজবুত করে দেন তারা। এরপর ৬৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। প্রথম উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন বেথ মুনি। তিনিও  আলিসা হেলির সঙ্গে ঝড়ের গতিতে রান করা শুরু করেন। অপরদিকে নিদের শতরানও পূরণ করে ফেলেন হেলি। স্ত্রীর ঐতিহাসিক ইনিংস গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেন অজি তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক। অপরদিকে দ্রুত গতিতে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করে ফেলেন মুনি। ১৫০ গণ্ডী টপকে যান হেলি। দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৬ রানের পার্টনারশিপ করার পর ৩১৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে অজিদের। ব্যক্তিগত ১৭০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ২৬ টি চারে সাজানো তার ইনিংস। এরপর ব্য়াট হাতে রান পাননি অ্যাশলে গার্ডনার ও ম্যাগ লানিং। ৬২ রান করে আউট হন মুনি। ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন এলিস পেরি ও ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তাহিলা ম্যাকগ্রা। 

৩৫৭ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্য়ান্ড। দলকে কার্যত একার কাধে টানার চেষ্টা করেছিলেন ন্য়াট সিভার। চাপের মধ্যেও দুরন্ত লড়াই চালয়ে প্রথমে নিজের অর্ধশতরান ও পরে নিজের শতরান পূরণ করেন তিনি।  একদিক থেকে উইকেট পড়লেও অপরদিক থেকে নিজে শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকেন। ১২১ বলে ১৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া অন্য কোনও ইংল্যান্ড ব্য়াটসম্য়ান ৩০ রানের ব্যাক্তিগত স্কোরের গন্ডী টপকাতে পারেনি। ৪৩ ওভার ৪ বলে ২৮৫ রানে অলআউট হয়ে য়ায় ইংল্যান্ড দল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন অ্যালান কিং ও জেস জোনাসেন। ২টি উইকেট নেন মেগান স্কাট ও একটি করে উইকটে নেন তাহিলা ম্যাকগ্রা ও গার্ডনার।