সংক্ষিপ্ত
চিনে (China) ধীরে ধীরে বাড়ছে ক্রিকেটের (Cricket) জনপ্রিয়তা। চিনা ক্রিকেটারদের ভালো ট্রেনিং ও পরিকাঠামো দিতে চায় চায়না প্রশাসনও। এক্ষেত্রে সিএবির (CAB) সাহায্য চেয়ে বৈঠক করলেন চায়না প্রতিনিধি দল ও সিএবি কর্তারা।
ব্যক্তিগত স্পোর্টসে চিনের খ্য়াত বিশ্ব জোড়া। অলিম্পিক্সের মতো প্রতিযোগিতায় চিন উপরের দিকেই থাকে। চিনে ধীরে ধীরে অনেকটাই বেড়েছে দলগত খেলার জনপ্রিয়তা। ইতিমধ্যেই চিনের ফুটবল যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে এবার ক্রিকেটেও উন্নতি করতে চাইছে চিন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিকেট খেলা শুরু হলেও এখনও সেভাবে নামডাক করতে পারেনি। তাই এবার চিনও চাইছে সেদেশের ক্রিকেটাররা যাতে ভালো ট্রেনিং পায় নিজেদের উন্নতির জন্য। আর সেই লক্ষ্য়ে এবার বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সাহায্য চাইল চিন। বাংলার সাথে মউ স্বাক্ষর করতেও ইচ্ছুক চিনের ক্রিকেট সংস্থা। সিএবির তরফ থেকেও সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার চিনের একটি তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল সিএবিতে এসেছিলেন সাক্ষাৎ করতে। সেই দলে ছিলেন চিনা দূতাবাসের কনসাল জেনারেল ঝা লিউ । ইকোনমিক এবং কমার্শিয়াল কনসাল ঝ্যাঙ হঙজি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ঝ্যাঙ ঝিঝংও চিনের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। সিএবি -তে এসে তারা বেশ কিছু সময় কাটান। ইডেন গার্ডেন্স ঘুড়ে দেখেন। সিএবির ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনাও তাদের খুব পছন্দ হয়েছে বলে খবর। এরপর চিনের তিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। বৈঠকে অভিষেক ডালমিয়ার পাশাপাশি বাংলার তরফে থেকে ছিলেন সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, যুগ্ম-সচিব দেবব্রত দাস। তাদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনাও হয়। সিএবি সূত্রে খবর, চিনের চংকিং সিটি ক্রিকেট সংস্থা বাংলার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চায়। চিনের ক্রিকেটাররা যাতে কলকাতায় এসে অনুশীলন করার সুযোগ পান, তার জন্য সিএবি-র সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করতে তৈরি তারা। শুধু এখানে এসে অনুশীলন নয়, প্রীতি ম্য়াচ খেলারও পরিকল্পনা রয়েছে চিনের।
বৈঠকে পর সিএবির তরফে জানানো হয় তিনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ক্রিকেটের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চিন কীভাবে উন্নতি করতে পারে , তীর জন্য কী কী পরিকাঠামো দরকার তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের তরফে সবরকমর সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। বাংলা ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া বলেন, ‘চিনের এক প্রতিনিধি দল আমাদের সঙ্গে দেখা করেছে। চিনের চোংইং সিটিতে ক্রিকেটের উন্নতিতে সিএবির সাহায্য চেয়েছে ওরা। আমরা সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি। ক্রিকেটের বিষ্মায়নে আমরা সবসময়ই সঙ্গে রয়েছি। চিন এই খেলাটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে দেখে ভালো লাগছে।’ চুক্তি পাকাপাকি হলে শুধু চিনা ক্রিকেটাররা নয়, বাংলার ক্রিকেটার ও কোচেরাও চাইলে চিনে যেকে পারবে।
আরও পড়ুনঃব্যর্থ গেল সিকন্দর রাজার শতরান, ১৩ রানে তৃতীয় ম্য়াচ জিতে জিম্বাবোয়েকে চুনকাম করল ভারত