সংক্ষিপ্ত
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় একদিনের ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ২৮৯ রান করল ভারতীয় ক্রিকেট দল ( Indian Cricket Team)। একদিনের ক্রিকেটে নিজের প্রথম অর্ধশতরান করলেন শুবমান গিল (Shubman Gill)। জবাবে জিম্বাবোয়ের সিকন্দর রাজা সেঞ্চুরি করলেও ২৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবোয়ে।
ভারতের বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই করেও শেষ রক্ষা হল না জিম্বাবোয়ের। তীরে এসে ডুবল তরী। ব্যর্থ গেল সিকন্দর রাজার অনবদ্য শতরান। তৃতীয় একদিনের ম্য়াচ ১৩ রানে জিতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর জিম্বাবোয়েকেও ঘরের মাঠে হোয়াইট ওয়াশ করল ভারতীয় দল। এদিন টস জিতে ব্য়াটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান করল ভারতীয় দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩০ রানের ইনিংস খেলেন শুবমান গিল। এটিই তার আন্তর্জাতিক একদিনের কেরিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি। এছাড়া ৫০ রানের ইনিংস খেলেন ইশান কিশান। শিখর ধওয়ান ৪০ ও কেএল রাহুল ৩০ রান করলেও তা খুবই ধীরগতিতে। জিম্বাবোয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন ব্র্যাড ইভানস। রান তাড়া করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে ২৭৬ রানে অলআউট হয়ে যান জিম্বাবোয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন সিকন্দর রাজা। এছাড়া ৪৫ রান করেন সিন উইলিয়ামস ও ২৮ রান করেন ব্র্যাড ইভানস। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন আবেশ খান।
এদিন কেএল রাহুল শিখর ধওয়ান খুবই ধীরগতিতে ইনিংস শুরু করেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করলেও চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি দুই ভারতীয় ওপনারকে। ১৫ ওভারে ৬৩ রানের পার্টনারশিপ করার পর প্রথম উইকেট পরে ভারতীয় দলের। ৩০ রান করে ব্র্যাড ইভানসের বলে আউট হন কেএল রাহুল। এরপর ৮৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ভারতের। ৪০ রান করে ব্র্যাড ইভান্সের বলেই আউট হন শিখর ধওয়ান। এরপর ইনিসের রাশ ধরেন শুবমান গিল ও ইশান কিশান। তারা সাবলীল ভঙ্গিতেই ব্যাট করতে থাকেন। দুজনে মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করে গিল ও ইশান জুটি। ১৪০ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। ২২৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫০ রানে রান আউট হন ইশান কিশান। এরপর আর কোনও ব্য়াটসম্য়ান সেভাবে রান করতে পারেননি। একদিক থেকে উইকেট পড়লেও অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান শুবমান গিল। নিজের শতরানও পূরণ করেন তিনি। ১৩০ রান করে ব্র্যাড ইভানসের বলেই আউট হন গিল। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রানে শেষ হয় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। জিম্বাবোয়ের টার্গেট ২৯০ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও মাঝে সিকন্দর রাজা ও সিন উইলিয়ামস একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেছিল। তারপর শেষের দিকে ব্র্যাড ইভানসকে সঙ্গে নিয়ে আরও একটি পার্টনারশিপ করে দলকে জয়ের দোরগোরায় নিয়ে গিয়েছিলেন ,সিকন্দর রাজা। একদিক থেকে যেখানে উইকেট পড়ছিল সেখানে অপরদিকে থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে যেভাবে ব্য়াটিং করে গিয়েছেন সিকন্দর রাজা তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভারতীয় বোলিং অ্যাটাকের বিরুদ্ধে একের পর এক চোখ ধাঁধানো ও আক্রমণাত্মক শট খেলেন তিনি। পূরণ করেন নিজের শতরানও । তবে সিকন্দর রাজা আউট হতেই জিম্বাবোয়ের জয়েক আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এক বল বাকি থাকতেই ২৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় রেগিস চাকাবাভার দল। ভারতীয় দলের হয়ে আবেশ খানের তিনটি উইকেট ছাড়াও ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দীপক চাহার, কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্য়াটেল। একটি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। এই জয়ের ফলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া।