সংক্ষিপ্ত

ক্রিকেট (Cricket) খেলার প্রসারে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে আইসিসি (ICC)। অনেক নতুন নতুন দেশ ক্রিকেটের আঙিনায় আসছে। তবে এমন কিছ দেশও রয়েছে যাদের ব্যান করেছে ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। 
 

ক্রিকেটকে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে আইসিসি। বর্তমানে জাপান, নাইজেরিয়া, থাইল্যান্ড, ফ্রান্সের মত দেশগুলিও ক্রিকেট খেলছে। চলতি বছরে আয়োজিত টি২০ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করেছে পাপুয়া নিউ গিনির মত ছোট দেশও। একদিকে যেখানে ক্রিকেটের প্রসার করছে আইসিসি সেখানে বেশ কয়েকটি এমন দেশ রয়েছে যাদের ক্রিকেট থেকে ব্যান করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। 

ব্রুনই-
ক্ষুদ্র এই এশিয়ান দেশটি ১৯৯২ সালে আইসিসির সদস্য হয়। আইসিসির অধীনে ব্রুনই তাদের প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ১৯৯৬ সালে। তারা আইসিসির অধীনে২২ বছরে শুধুমাত্র এসিসি ট্রফি খেলেছিল। ২০০৯ সালে তারা এসিসি ট্রফি চ্যালেঞ্জ ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছিল। ২০১০ সালে ব্রুনই থাইল্যান্ডে এসিসি ট্রফির শেষ ম্যাচ খেলেছিল এবং তারপরে তাদের আইসিসি ব্যান করেছিল।

সুইজারল্যান্ড-
সুইজারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ১৯৮৫ সালে আইসিসির একটি অনুমোদিত সদস্য হয়ে ওঠে। দলটি বেশ ভালই পারফর্ম করছিল। সুইজারল্যান্ডের একটি ৪০ ওভারের নিজস্ব ঘরোয়া লিগ ছিল। ১৯৯০ সালে গ্রিসের বিপক্ষে তাদের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। সদস্যপদ বিধি লঙ্ঘন করার কারণে তাদের নিষিদ্ধ করে আইসিসি। ২৭ বছর সদস্য থাকার পর তাদের ব্যান করা হয়।

কিউবা-
কিউবা ২০০২-০৩ সালে আইসিসির অনুমোদন পায়। ২০০৮ সালে সিন্ট মার্টিনের বিপক্ষে তাদের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। কিউবা ক্রিকেট কমিশনকে ২০১৩ সালে আইসিসি নিষিদ্ধ করেছিল।  কারণ তারা বোর্ড পরিচালনার জন্য একটি স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। কিউবা তাদের আটটি ম্য়াচের মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছিল। 

টোঙ্গা-
টোঙ্গা ২০০০ সালে আইসিসির সদস্য হয়। টোঙ্গা ১৪ বছর ধরে আইসিসির সাথে যুক্ত ছিল। আইভেনি তাকিমোয়েকা টোঙ্গার ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। তারা ২০১১1 বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলেছিল। টোঙ্গাকে ২০১৪ সালে আইসিসি দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।  ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যতার প্রয়োজনীয়তাগুলি মেনে চলতে ব্যর্থতার কারণে।

পূর্ব আফ্রিকা-
১৯৭৫সালে প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা ৮ টি দলের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকা ছিল। পূর্ব আফ্রিকা ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আইসিসির সহযোগী সদস্য ছিল। তারা পরে পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকা দলে প্রতিস্থাপিত হয়। পূর্ব আফ্রিকা তাদের শেষ ম্যাচ খেলেছিল কেনিয়ার বিপক্ষে ১৯৮৬ সালে। ত

মরক্কো-
মরক্কো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল ১৯৯৯ থেকে২০১৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্য ছিল। আইসিসি ২০২১ সালে দলটিকে নিষিদ্ধ করে। মরক্কোর দলটি তাদের সদস্যপদ হারায় কারণ আইসিসি তার ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। সেই কারণে মরক্কোকে বিশ্ব পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করেছে আইসিসি।  যতক্ষণ না আইসিসি তাদের পুনরায় অনুমতি দেয়।

আরও পড়ুনঃকমনওয়েলথে ভারতের দ্বিতীয় সোনা, ভারোত্তলনে রেকর্ড গড়ে বাজিমাত জেরেমি লালরিন্নুঙ্গার

আরও পড়ুনঃশুধু সোনা জয় নয়, একাধিক রেকর্ডও গড়লেন মীরাবাই চানু, জানিয়ে দিলেন পরবর্তী লক্ষ্য