সংক্ষিপ্ত
ভারত বনাম ইংল্য়ান্ডের (India vs England) তৃতীয় একদিনের ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ২৫৯ রান করে ইংল্য়ান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করলেন জস বাটলার (Jos Buttler)। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিলেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pndya)।
ভারত বনাম ইংল্য়ান্ডের তৃতীয় একদিনের সিরিজ নির্ণায়ক ম্য়াচে ব্য়াটে-বলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখল ক্রিকেট প্রেমিরা। একদিকে হার্দিক পান্ডিয়া, মহম্মদ সিরাজ, যুজবেন্দ্র চাহলদের অনবদ্য বোলিং। আরেক দিকে জেসন রয়, জস বাটলার, মইন আলি, ক্রেইগ ওভারটনদের লড়াকু ব্য়াটিং। দলগত প্রয়াসেই মেগা ফাইনালে ২৫০ রানের গণ্ডি টপকাল ব্রিটিশ লায়ন্সরা। ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। ৪৫.৫ ওভারে ২৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রানের অধিনায়োকচিত ইনিংস খেলেন জস বাটলার। এছাড়া জেসন রয় ৪১, মইন আলি ৩৪, ক্রেইগ ওভারটন ৩২, লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ২৭ রান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উউইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া, ৩টি উইকেট নেনে যুজবেন্দ্র চাহল, ২টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্য়ান্ডের। ১২ রানে পরপর দুটি উইকেট পড়ে। জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট খাতা না খুলেই মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন। এরপর ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরেন জেসন রয় ও বেন স্টোকস। বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শটও খেলেন দুজন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন তারা। ৬৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৪১ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন জেসন রয়। চতুর্থ উইকেট পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতকে। দলের ৭৪ রানের মাথায় ২৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার দ্বিতীয় শিকার হন বেন স্টোকস। এরপর অধিনায়ক জস বাটলার ও মইন আলি মিলে দলের ইনিংসের রাশ ধরেন। দুজন মিলে ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। কারাপ বলেও নিজেদেরে আক্রমণাত্মক শটও খেলেন তারা। অর্ধশতরানে পার্টনারশিপ পূরণ করেন জস বাটলার ও মইন আলি জুটি। শেষ পর্যন্ত ৭৫ রান জুটিতে যোগ করার পর দলের ১৪৯ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। ৩৪ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হন মউন আলি।
এরপর জস বাটলারকে এসে সঙ্গ দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। দুজন মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। একদিক থেকে নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান লিভস্টোন। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন জস বাটলার। জুটিতে ৪৯ রান যোগ করেন তারা। ১৯৮ রানে ব্যক্তিগত ২৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন লিভিংস্টোন। একই ওভারে ১৯৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬০ রানে হার্দিক পান্ডিয়ার চতুর্থ শিকার হন জস বাটলার। এরপর শেষের দিকে ডেভিড উইলি ও ক্রেইগ ওভারটন মিলে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। দুজন মিলে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ করে দলের স্কোর ২৫০রানের দোরগোরায় পৌছে দেন। ২৪৭ রানে অষ্টম উইকেট পড়ে ইংল্য়ান্ডের। ১৮ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট হন ডেভিড উইলি। ২৫৭ রানে পড়ে নবম উইকেট। ৩২ রান করে চাহলের দ্বিতীয় শিকার হন ক্রেইগ ওভারটন। ২৬০ রানে অলআউট হয়ে যায় ব্রিটিশরা। খাতা না খুলেই চাহলের তৃতীয় শিকার হন রিসি টপলে। জয়ের জন্য ভারতের টার্গেয় ২৬০ রান।