সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার থেকে কেপটাউনে (Cape Town) শুরু হতে চলছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs SouthAfrica)তৃতীয় টেস্ট। বর্তমানে সিরিজে ফলল ১-১। শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ জিততে মরিয়া বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও ডিন এলগারের (Dean Elgar) দল।
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়নে জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ২০১৪ সালে পর সেঞ্চুরিয়নে প্রোটিয়াদের গড়ে হারায় টিম ইন্ডিয়া (Team India)। প্রথম এশীয় দল হিসেবে এই কৃতিত্ব গড়ে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) দল। প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলের কার্যত একতরফা জয়ের পর অনেকেই ধরে নিয়েছিল পয়া জোহানেসবার্গ টেস্ট জিতেই প্রোটিয়াভূমে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস তৈরি হবে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ডিন এলগারের (Dean Elgar) দল। জোহানেসবার্গ টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মঙ্গলবার থেকে কেপ টাউনে শুর হতে চলেছে তৃতীয় সিরিজের ভাগ্য নির্ণায়ক টেস্ট। পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্য বলা হয় কেপ টাউনকে (Cape Town)। সেই গতির স্বর্গরাজ্যে শেষ টেস্ট জিতে একদিক যেমন ইতিহাস গড়ার হাতছানি ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team), অপরদিকে ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অপরাজিত থাকার তকমা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)।
ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া ভারতীয় দল-
জোহানেসবার্গ থেকে কেপ টাউনে পৌছে হাতেমাত্র ২ দিন অনুশীলনের জন্য সময় পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। পরিস্থিতি ও কেপ টাউনের গতি ও বাউন্সি পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য যা খুবই কম সময়। তবে সেসব নিয়ে না ভেবে দলকে কঠোর অনুশীলন করিয়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ক্রিকেটাররা দ্বিতীয় টেস্ট থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। দ্বিতীয় টেস্টে পিঠে ব্য়থার কারণে খেলতে পারেননি বিরাট কোহলি। তৃতীয় চেস্টের আগে অনেকটাই সুস্থ তিনি। অনুশীলনেও ফিরেছেন, তাই শেষ ম্যাচ অদিনায়কের দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। মহম্মদ সিরাজ জোহানেসবার্গ টেস্টে চোট পেয়েছিলেন। তাই কেপটাউন টেস্টে খেলবেন না চোটের জন্য। সেই জায়গায় ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবের মধ্যে একজন খলবেন। কেপ টাউনের উইকেট বিচার করে ইশান্তই খেলার সম্ভাবনা বেশি। তবে চোট বা দলে পরিবর্তন এসব নিয়ে না ভেবে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ টিম ইন্ডিয়া।
আত্মবিশ্বাসী প্রোটিয়া ব্রিগেড-
প্রথম টেস্ট হারের পর য়ে দলকে ভারতীয় দলের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রেখেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা,দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সমালোচকদের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি বুঝিয়ে দিয়েছেন ঘরের মাঠে তাদের কেন অপ্রতিরোধ্য বলা হয়। এনরিখ নকিয়া না থাকা সত্ত্বেও রাবাডা, জেনসন, এনগিডিরাই আগুন ঝড়াচ্ছেন ২২ গজে। কেপ টাউনের উইকেটে ইতিমধ্যেই রাবাডার ঝুলিতে রয়েছে ৩৫ উইকেট। মার্কো জেনসনও তৈরি বিরাটদের আরও একবার পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। দ্বিতীয় টেস্টে এলগার, পিটারসেন, ভ্যান ডার ডুসেনরারানের মধ্যে ফেরা বাড়তি স্বস্তি দিয়েছে প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্টকে। গতবার সফরেও এই মাঠে ভারতীয় দলকে লজ্জাজনকভাবে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও সেই পুনরাবৃত্তি করে সিরিজ জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রোটিয়া ব্রিগেড।
আরও পড়ুনঃVirat Kohli: ক্রিকেট ছাড়াও ৮টি উপায়ে কোটি টাকা রোজগার করেন বিরাট কোহলি, জানুন কীভাবে
ম্য়াচ প্রেডিকশন-
কেপ টাউনে তৃতীয় টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। একদিকে যদি থাকে রাবাডা-জেনসন-এনগিডিরা, অপরদিকে রয়েছে শামি-বুমরা-শার্দুলরা। যদিও সিরিজে ব্য়াটসম্য়ানদের ফর্মের তুলনা করা হয় তাহলে দুই দলই সমান। ধারাবাহিকতার অভাব রয়ছে। ফলে ঘরের মাঠে খেলার কিছুটা অ্য়াডভান্টেজ দক্ষিণ আফ্রিকা পেলেও ভারতীয়ী সমানে সমানে লড়াই দেবে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।