সংক্ষিপ্ত
রেকর্ড টাকায় বিক্রি হল আইপিএলের মিডিয়া রাইটস (IPL media rights)। যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৩ গুন। একটি ম্যাচের মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি মূল্যে ইপিএলকেও (EPL) ছাপিয়ে গেল আইপিএল (IPL)।
এতদিন পর্যন্ত আপনারা আইপিএল দেখে এসেছেন স্টার স্পোর্টm চ্যানেলে। অনলাই স্ট্রিমিং দেখেছেন ডিসনি হটস্টারের। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইপিএল দেখানোর স্বত্ব কিনেছিল স্টার। পরে যা ডিজনি স্টার হয়। খরচ করতে হয়েছিল ১৬,৩৪৮ কোটি টাকা। এটি ছিল আইপিএলের দ্বিতীয় মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইপিএল দেখানোর স্বত্ব কিনেছিল ডিজনি স্টার। এর আগে প্রথমে ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আইপিএল সম্প্রচার স্বত্ব সোনি কিনেছিল ৮,২০০ কোটি টাকায়। তবে এবার সেই স্বত্ত্ব কে কিনবে তা নিয়ে জল্না চলছিল উঠে আসছিল একাধিক নাম। এর জন্য একটি ই নিলামের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে সোমবার নির্রাধিত হল আগামি ৫ বছরের জন্য আইপিএলের মিডিয়া রাইটস থাকছে কাদের দখলে।
কত টাকায় বিক্রি হল আইপিএলের মিডিয়া রাইটস-
গত দুবারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল তৃতীয়বারের আইপিএল মিডিয়া স্বত্বের দাম। গতবারের তুলনায় দাম বাড়ল প্রায় ৩ গুন। আগামি ৫ বছরের জন্য ২৩,৫৭৫ কোটি টাকায় টেলিভিশন স্বত্ব কিনে নিয়েছে একটি চ্যানেল। ২০,৫০০ কোটি টাকায় আইপিএলের ডিজিটাল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে। আইপিএলের মোট সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ৪৪,০৭৫ কোটি টাকায়। যদিও কোন চ্যানেল আইপিএল দেখানোর স্বত্ব পেয়েছে, তা জানায়নি বোর্ড। টেলিভিশনে ম্যাচ পিছু মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৫৭.৫ কোটি টাকা। ডিজিটাল মাধ্যমে ম্যাচ পিছু মূল্য ৪৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচের সম্প্রচার মূল্য ১০৫ কোটি টাকা করে।
আইপিএল বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল লিগ-
আইপিএলের একটি ম্যাচের জন্য ১০৫.৫ কোটি টাকা পাবে বিসিসিআই। এইভাবে একটি ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব অনুযায়ী, আইপিএল এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে ব্যয়বহুল লিগ হয়ে উঠেছে। আইপিএল ইপিএলকে ছাড়িয়ে গেছে। এখন শুধু আমেরিকার রাগবি লিগ এনএফএল রয়েছে আইপিএলের উপরে। এনএফএলের একটি ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব অনুযায়ী মূল্য ২৭৪ কোটি টাকা। ইপিএলের ম্যাচ পিছু মূল্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকা। সখানে আইপিএলে ১০৫.৫ কোটি টাকা পাবে।
মিডিয়া রাইটস ৪টি প্যাকেজে বিভক্ত-
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মিডিয়া স্বত্ব চারটি প্যাকেজ এ, বি, সি এবং ডি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্যাকেজ এ শুধুমাত্র উপমহাদেশের টিভি অধিকারের জন্য। যেখানে প্যাকেজ বি-তে ভারতীয় উপমহাদেশে ডিজিটাল অধিকার দেওয়া হবে। এছাড়াও প্যাকেজ সি-তে প্লে-অফ ম্যাচের জন্য ডিজিটাল অধিকার দেওয়া হবে। প্যাকেজ ডি-তে বিশ্বের সব প্রান্তে ম্যাচ দেখানোর জন্য টিভি ও ডিজিটাল অধিকার দেওয়া হবে।
৫ বছরে আইপিএলে ৪০০টিরও বেশি ম্যাচ আয়োজন করবে বিসিসিআই-
আগামী পাঁচ বছরে বিসিসিআই আইপিএলের ৪১দ০টি ম্যাচ আয়োজন করতে পারে। সূত্রের খবর, বিসিসিআই ২০২৩-২৪ সালে মাত্র ৭৪টি ম্যাচ হতে চলেছে। ২০২২ সালেও তাই হয়েছে। তবে এরপর ২০২৫ ও ২০২৬ সালে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। এই দুই বছরে ৮৪টি ম্যাচ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৭ সালে ৯৪টি ম্যাচ করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বোর্ডের।
আরও পড়ুনঃভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় টি২০ ম্যাচে এগিয়ে কোন দল, কী বলছে ম্যাচ প্রেডিকশন
আরও পড়ুনঃরঞ্জি সেমির আগে কতটা প্রস্তুত বাংলা দল, মনোজের চোট নিয়ে এল বড় আপডেট