সংক্ষিপ্ত
আজ আইএসএলের মেগা ফাইনাল (ISL Final)। মুখোমুখি কেরালা ব্লাস্টার্স ও হায়দরাবাদ এফসি (Kerala Blasters vs Hyderabad FC)। প্রথম ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে শেষ। খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
টানটান আইএসএল ফাইনাল (ISL Final)। নির্ধরিত ৯০ মিনিটে করা গেল না খেলার মীমাংসা। খেলার ফল ১-১। ম্য়াচের প্রথমার্ধে খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই একটি করে গোল করে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে রাহুল কেপি (Rahul KP)গোল করে এগিয়ে দেয় কেরালা ব্লাস্টার্সকে (Kerala Blasters)। মনে করা হয়েছিল এই গোলেই ট্রফি ঘরে তুলবে কেরালা। ম্য়াচের ৮৮ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরেও রেখেছিল। কিন্তু সেই সময় গোল করে হায়দরাবাদকে (HYderabad Fc)খেলায় ফেরায় সাহিল তাভোরা (Sahil Tavora)। শেষ কয়েক মিনিটে আর কোনও দল গোল করতে পারেনি। ফলে আইএসএল ২০২১-২২ মরসুমের মেগা ফাইনালের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করতে ম্য়াচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।
ম্য়াচের প্রথম থেকেই দুই দল গোলের জন্য চেষ্টা করতে থাকে। তবে রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার রণনীতি নেয় কেরালা ব্লাস্টার্স ও হায়দরাবাদ এফসি। ম্য়াচের শুরু থেকেই দুই দল কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি। প্রথমার্ধের ৩৯ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগ পেয়েছিলেন কেরালার ভাজকেজ। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে তাঁর জোরালো শট বারে লেগে ফিরে আসে। অপরদিকে, একই মুভে প্রতিআক্রমণে ছোটে হায়দরাবাদও। তবে সিভেরিয়োর পাস ওগবেচের পায়ে পৌঁছনোর আগেই তা কেরালা ডিফেন্ডাররা ব্লক করে দেন। ম্য়াচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে সবথেকে ভালো সুযোগ পেয়েছিল হায়দরাবাদ। ইয়াসিরের ফ্রি-কিক থেকে দ্বিতীয় পোস্টে তাঁর রান কেউ ট্রেকই করেনি। অনেকটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে জোরালো হেডারও নেন সিভেরিয়ো, তবে গিল তুখর রিফ্লেক্স দেখিয়ে শট বাঁচিয়ে দেন। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। একে অপরের বক্সে বারবার হানা দেয়। অবশেষে ম্য়াচের ৬৮ মিনিটে প্রথম গোলের মুখ খুলতে সমর্থ হয় কেরালা ব্লাস্টার্স। খেলার গতির সম্পূর্ণ বিপরীতে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে একটি শট নেন রাহুল কেপি। শটে এমন কিছু জোর ছিল না। তবে অদ্ভুতভাবে মরশুমে সবথেকে বেশি শট সেভ করা হায়দরাবাদ গোলরক্ষক বল ধরতে গিয়েও ব্যর্থ হন। তাঁর হাতে লেগেই বল জালে জড়িয়ে গেল। কেরালা ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। গোল খাওয়ার পর শোধ করার জন্য সবরকম চেষ্টা করতে থাকে হায়দরাবাদ। ম্য়চের ৮৮ মিনিটে নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট আগে মরশুমের ফাইনালের সম্ভবত মরশুমের সেরা গোলটি করেন ফেললেন সাহিল তাভোরা। অন্তত ২৫-৩০ গজ দূর থেকে তাঁর বুলেট শট, গিলকে নড়ারই তেমন সুযোগ দেয়নি। সেই গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে হায়দরাবাদ। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হয় খেলা।