সংক্ষিপ্ত

  •  ক্রিকেটারদের স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গে রাখা নিয়ে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং কোচ রবি শাস্ত্রী কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে কোয়া।
  • কমিটির এমন সিদ্ধান্তে বেশ অবাক বিসিসিআই।
  • হতভম্ব হয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধাও।
  • তাদের বক্তব্য ক্রিকেটারের স্ত্রী বা বান্ধবি তাদের সঙ্গে যাবে কিনা সেই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা কোহলি এবং শাস্ত্রী-কে দেওয়া  স্বার্থের সংঘাত ছাড়া কিছুই নয়।
     

বিদেশ সফরে বউ-প্রেমিকারা যাবেন কিনা এববার থেকে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিসিসিআই-এর প্রসশাসনিক কমিটি এই সিদ্ধান্তই নিল। তাদের এই অদ্ভূত সিদ্ধান্তে বিস্মিত ভারতীয় ক্রিকেট মহল। এতদিন এই সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্তই নিতেন বিসিসিআই-এর কর্তারা। এমনকী সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে তাদের স্ত্রী এবং বান্ধবীদের থাকার অনুমতি মিলেছিল পাকিস্তান ম্য়াচের পর থেকে। সেই ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্তটা ছিল বোর্ডেরই। 

কমিটির এমন সিদ্ধান্তে অবাক বিসিসিআই কর্তারাই। হতভম্ব সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধাও। যাঁর সুপারিশ অনুযায়ী ভারতীয় বোর্ডের নতুন সংবিধান রচনা করা হয়েছে। কোয়া কমিটির এই সিদ্ধান্তের তিনি এতটাই হতাশ যে এই বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে চাননি। বল ঠেলে দিয়েছেন এথিক্স অফিসারের কোর্টে। তাঁর মতে লোধা প্যানেলের সিদ্ধান্তকে যে যার নিজের মত করে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, নতুন নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে। যদিও তার মধ্যে অবহেলিত সুপ্রিম কোর্ট-এর অনেক নির্দেশই। প্রশাসনিক কমিটি তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টের থেকেও উপরে বলে মনে করেছেন। 

বোর্ডের কর্তাদের মধ্যেও সিওএ-র এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআই-এর এক কর্তা এতে সরাসরি স্বার্থের সংঘাত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। কোহলি-শাস্ত্রীরা যদি নিজেরাই তাঁদের স্ত্রী-বান্ধবীরা বিদেশ সফরে যাবেন কিনা তা ঠিক করেন, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যা হয়তো দলের জন্য সঠিক নাও হতে পারে। কাজেই এই সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্নই উঠছে। 

এর আগে ভারতীয় দলের লম্বা সফরের ক্ষেত্রে বিরাট কোহলি বউ-প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতির জন্য সওয়াল করেছিলেন। সেই সময়ও এই নিয়ে সোরগোল পড়েছিল। সিওএ অবশ্য বিরাটের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পক্ষেই ছিলেন। এইবার তাঁরা সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই তুলে দিলেন অধিনায়ক-কোচের হাতে। এই বিষয় নিয়ে জল কতদূর গড়ায়, এবার সেটাই দেখার।