সংক্ষিপ্ত
- আইসিসির হল অব ফেম-এ জায়গা পেলেন সচিন তেন্ডুলকর।
- একই সম্মান পেলেন প্রাক্তন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ডও।
- এছাড়া এইবার হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয় মহিলা ফাস্ট বোলার ক্যাথরিন ফিৎসপ্যাট্রিক-ও।
- সচিনের আগে আরও ৫ ভারতীয় জায়গা পেয়েছেন হল অব ফেম-এ।
আইসিসির হল অব ফেম-এ জায়গা করে নিলেন ব্য়াটিং কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। তাংর সঙ্গে সঙ্গে এই বছর এই সম্মান জানানো হয়েছে প্রাক্তন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড এবং প্রাক্তন অস্ট্রেলিয় মহিলা ফাস্ট বোলার ক্যাথরিন ফিৎসপ্যাট্রিক-কেও। বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এই তিনজনকে সম্মানিত করল আইসিসি।
ন্যুনতম ৫ বছর আগে অবসর নিলে তবেই আইসিসি-র অফ ফেম-এ মনোনয়ন পাওয়া যায়। সচিন অবসর নেন ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে। অর্থাৎ এই বছরই তিনি এই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। আইসিসি তাঁকে এই সম্মান জানাতে আর একটুও দেরি করল না। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সচিন ২০০ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে তাঁর রান ১৫৯২১। এর সঙ্গে রয়েছে একদিবসীয় ক্রিকেটে ১৮৪২৬ রান রয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ টি শতরানের রেকর্ডও একমাত্র তাঁরই দখলে। কাজেই তাঁকে সম্মান জানিয়ে আইসিসি নিজেই সম্মানিত হল বলা যায়।
এই বিষয়ে সচিন বলেছেন, আইসিসি হল অফ ফেম-এ জায়গা পাওয়াটা অত্যন্ত সম্মানের। এই পুরষ্কার অনেক পুরনো স্মৃতি উসকে দিয়েছে। তাঁর মতে, ক্রিকেট খেলাটায় প্রত্যেক ক্রিকেটারই নিজ নিজ অবদান রেখেছেন। সেই ভিড়ে তিনি শুধু নিজের কাজটুকুই করে গিয়েছেন। আর সেটা ঠিকঠাকভাবে করতে পেরে তিনি গর্বিত।
সচিনের আগে আরও পাঁচজন ক্রিকেটার অফ ফেম-এ সম্মানিত হয়েছেন। এঁরা হলেন, সুনিল গাভাস্কার, বিষেন সিং বেদী, কপিল দেব, অনিল কুম্বলে এবং রাহুল দ্রাবিড়।
'সাদা বিদ্যুৎ' নামে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড অবসর নিয়েছিলেন ২০০৪ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তিনিই প্রথম ৩০০টি টেস্ট উইকেট এবং ২০০ টি ওডিআই উইকেট শিকার করেন। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে মোট ৬০২ টি উইকেট রয়েছে তাঁর। সম্মানিত হওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, ইমেল খুলেই যদি দেখা যায় হল অফ ফেমের সম্মান এসেছে, তার চেয়ে ভাল কিছু হয় না। এই সম্মানের জন্য তিনি আইসিসি-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
অষ্টম অস্ট্রেলিয় হিসেবে আইসিসি হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছেন অজি মহিলা ফাস্ট বোলার ক্যাথরিন ফিৎসপ্যাট্রিক। ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ১৮০ টি ওডিআই উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেই সময় তিনিই ছিলেন একসময় মহিলা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী। ২০১৭ সালে ঝুলন গোস্বামী অবশ্য তাঁর এই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন। এছাড়া তাঁর সময়ে ১৯৯৭ ও ২০০৫ সালে দুটি মহিলা বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। কোচ হিসেবেও তিনি যথেষ্ট সফল। ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয় মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ ছিলে তিনি। সেই সময় অজি মহিলা দল একটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং দুটি টি২০ বিশ্বকাপ জেতে। তাঁর মতে আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটাররা শুধু ভাল খেলোয়াড়ই নন বরং তাঁরা এক-একজন গেম চেঞ্জার। আইসিসি এই তালিকায় তাঁকে অনর্ভুক্ত করায় তিনি আপ্লুত।