সংক্ষিপ্ত

১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সচিনতেন্ডুলকরতের হাতেখড়িরর কাহিনি প্রায় সকলের জানা।  তবে অনেকেই হয় তো জানেন না যে তাঁর আগে পাকিস্তান দলের ভারতেরই বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। 
 

ক্রিকেট বিশ্বের এক অন্যতম কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর।  মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে শুরু করেছিলেন তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের যাত্রা। এরপর থেকে ক্রিকেট দুনিয়ায় তাঁর ইতিহাসটা সকলেরই জানা। নিজের পারফরম্যান্সের জোরে তিনি হয়ে উঠেছেন ক্রিকেটের ঈশ্বর। আজ সেই কিংবদন্তির জন্মদিন। তবে ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডেবিউয়ের পর থেকে সচিন তেন্ডুলকরের ক্রিকেটের মাঝে বেড়ে ওঠার কাহিনি সকলের কাছে অতি পরিচিত হলেও মাস্টার ব্লাস্টারের জীবনের এমন অনেক কাহিনি রয়েছে যা অনেকেই জানেন না। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিংবদন্তির জীবনের এমনই এক ইতিহাস।  

১৯৮৯ সালের ভারতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়েছিল আরও আগেই। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ইন্টারন্যাশন্যাল খেলার স্বাদ অনুভব করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর তাও মুম্বইয়ের মাটিতেই।  ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হয়ে সেদিন মাঠে নেমেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। অবিস্মরণীয় এই ঘটনা নিজের আত্মজীবনী 'প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে'- তে উল্লেখ করেছেন তিনি। সেখানে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইমরান খানের নাম উল্লেখ করে তিনি লেখেন, 'আমি ঠিক জানি না ইমরান খানের আদৌ মনে আছে কি না যে একসময় আমি ও পাকিস্তান দলের হয়ে খেলেছিলাম।'

আরও পড়ুন- মুম্বই বধে ধোনিই ফিনিশার শেষ মুহূর্তে ম্যাচ ছিনিয়ে জয় দিলেন চেন্নাইকে, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী

আরও পড়ুন- আইপিএলে ব্য়াটে রান নেই রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির, দুই তারকাকে নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী সুনীল গাভাসকরের

আরও পড়ুন- একসময় খেলেছেন ধোনির নেতৃত্বে , এখন তারা আইপিএল কোচ, চিনে নিন এমন ৮ ক্রিকেটারকে

এরপর কীভাবে তাঁর খেলার সুযোগ সেই কথা ও সেখানে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তিনি। আত্মজীবনীতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পাকিস্তানের ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ এবং আবদুল কাদির মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় মাঠ ছেড়েছিলেন। স্ট্যান্ডবাই ফিল্ডার হিসেবে শচীনকে সফরকারী দলের হয়ে মাঠে নামতে বলা হয়েছিল। তবে শুধু পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামাই নয় সেদিনের খেলাটা সচিন তেন্ডুলকরের জীবনে আরও একটি কারণে চিরকালীন স্মরণীয়। কেন জানেন?

কারণ সেদিন ম্যাচে কপিল দেবের ক্যাচ ধরতে ধরতে ও একটুর জন্য মিস করেছিলেন। প্রসঙ্গত, সচিন তেন্ডুলকরের বর্ণময় ক্রিকেট কেরিয়ারের এমন অনেক অনবদ্য রেকর্ড রয়েছে তা অতিক্রম করা তো দূর তার কাছাকাছি ও পৌঁছতে পারেন নি অনেকেই। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, শচীন কোটি কোটি ভারতীয়দের মুখে হাসি এনেছেন। সেই কারণেই তিনি ভক্তদের কাছে শুধু একজন প্রিয় ক্রিকেটার নন হয়ে উঠেছেন ক্রিকেট ঈশ্বর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই উজ্জ্বল কেরিয়ারে সচিন তেন্ডুলকরের ঝুলিতে রয়েছে ৩৪৩৫৭ রানের রেকর্ড যার মধ্যে রয়েছে ১০০টি সেঞ্চুরি ও।