সংক্ষিপ্ত
- নিজের দ্বিশতরান করা ব্যাট নিলামে তুলেছিলেন মুশফিকুর রহিম
- পাঁচ দিন ধরে চলেছে সেই ব্যাট নিলামের প্রক্রিয়া
- রহিমের ব্যাট শেষমেশ কিনলেন পাক তারকা শাহিদ আফ্রিদি
- একই সাথে নিলামে উঠেছিল যুবদলের অধিনায়ক আকবর আলীর গ্লাভসও
দিনক্ষণ ঠিক ছিল আগেই। অবশেষে শেষ হয়েছে পাঁচ দিনের নিলাম। একসময় বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের অপেক্ষাটা ছিল শুধু ফলের। সেই অপেক্ষা ভালোভাবেই শেষ হয়েছে। মুশফিকুরের ব্যাট কিনেছে পাকিস্তানের কিংবদন্তি অল-রাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির একটি ফাউন্ডেশন। পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের ফাউন্ডেশন মুশফিকের ব্যাট কিনেছে প্রায় ১৭ লাখ টাকায়। এই বিশাল টাকা উঠে আসায় খুশি মুশফিকুর রহিম।
আরও পড়ুনঃঅস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সম্ভাবনা নাকোচ করে দিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট
করোনায় দুর্গত ব্যক্তিদের সহায়তা করতে ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার 'গল' স্টেডিয়ামে দেশের প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাটটি নিলামে তুলেছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল উইকেটকিপার। ৯ মে শুরু হয়ে ১৪ মে রাত ১০টায় শেষ হয়েছে মুশফিকের ব্যাটের নিলাম। কাল ফেসবুক লাইভে এসে সেটির আনুষ্ঠানিক ফল জানিয়েছেন উইকেটরক্ষক নিজেই। মুশফিকের ব্যাটের নিলাম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও যাবতীয় ব্যবস্থাপনা করেছে ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান 'পিকাবো'।
আরও পড়ুনঃজুলাইতেই মাঠে ফিরতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট দল,ইঙ্গিত বোর্ড কর্তার
আফ্রিদি কেন কিনেছেন, সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুশফিকুর। খবরটি দেখে আফ্রিদি ব্যক্তিগত ভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানিয়েছেন মুশি। আমি লিঙ্ক দিই। ১৩ মে প্রস্তাবপত্র পাঠায় আফ্রিদির ফাউন্ডেশন। তিনি ২০ হাজার ইউএস ডলারে অর্থাৎ ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ব্যাটটি কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। পরে এ দামেই তিনি কিনে নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তামিম ইকবালেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য বলে জানিয়েছেন মুশফিকুর। সে আউ ব্যাপারে অনেক সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃবিশ্বজয়ের স্মৃতি বিজড়িত মাঠ, হতে চলেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
একই প্ল্যাটফর্মে নিলাম উঠেছিল বাংলাদেশের হয়ে যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলীর জার্সি-গ্লাভস। তা ২ হাজার ডলারে অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনেছেন জুয়েল নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি। মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট আর মাশরাফি বিন মুর্তজার স্বাক্ষরিত টুপির দাম ঘোষণা করা হয়নি। এটা নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পিকাবোর প্রধান নির্বাহী মরিন তালুকদার।