সংক্ষিপ্ত

বিসিসিআইয়ের প্রশাসনিক পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav ganguly) ও জয় শাহের (Jay shah) মেয়াদ বৃদ্ধির মামলায় মিলল স্বস্তি। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত  বিসিসিআইয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে থাকতে পারবেন সৌরভ।

মঙ্গলবার পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের প্রশাসনিক মসনদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভবিষ্যতের আকাশে ছিল কালো মেঘ। বিসিসিআই সভাপতি পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব পদ তার সহযোগী জয় শাহ আর থাকতে পারেবন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। কারণ কুলিং অফের নিয়ম বদলে ক্ষেত্রে খুব একটা রাজি ছিলেন না। কিন্তু বুধবার সেই কালো মেঘ কাটল। বুধবা শীর্ষ আদালতের স্বস্তি পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহরা। ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সভাপতি থেকে যাওয়ায় আর কোনও অসুবিধা থাকল না সৌরভের। কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন জয় শাহ।

 

 

লোধা কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বিসিসিআইয়ের রাজ্য এবং বোর্ড যেখানেই হোক ৬ বছরের প্রশাসক পদে নিযুক্ত থাকার পর যে কোনও ব্যক্তিকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে।  সুপ্রিম কোর্টে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানিয়েছিল বিসিসিআই। আদালতের তরফে মঙ্গলবার বলা হয়, 'কুলিং অফ ছাড়া টানা ১২ বছর অনেকটা সময়। আমরা বলতে পারি রাজ্য সংস্থায় এবং বোর্ডের দায়িত্বের মাঝে ‘কুলিং অফ’ না থাকলেও হবে। কিন্তু দুই জায়গা মিলিয়ে নিজেদের সময় শেষ হওয়ার পর কুলিং অফে যেতেই হবে।' যদিও সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত উকিল মনিন্দর সিং এ দিন সৌরভদের সামান্য স্বস্তি দিয়েছেন। তিনি সুপারিশ করেছেন, কোনও ব্যক্তি  রাজ্য সংস্থায় একটি টার্ম কাটালে তাঁকে বিসিসিআই-তে পরপর দুটি টার্ম কাজ করার অনুমতি দেওয়াই যায়। সেই যুক্তিকেই বুধবার মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত। বুধবার বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চে শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সংস্থায় ছ’বছর এবং বোর্ডে ছ’বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন এক জন আধিকারিক। অর্থাৎ ১২ বছর দায়িত্ব সামলানোর পর কুলিং অফে যেতে হবে তাঁকে। 

প্রসঙ্গত, সিএবি সভাপতি পদে থাকাকালীন ২০১৯-এর অক্টোবরে বিসিসিআই প্রেসিডডেন্ট হয়েছিলেন সৌরভ। অন্তবর্তীকালীন ১০ মাসের জন্য বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু নিজেরযোগ্যতা দিয়ে সৌরভ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি এই পদের জন্য কতটা যোগ্য। তা বিসিসিআইয়ের পরিকাঠামোগত উন্নতি হোক আর ভারতের মাটিতে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট আয়োজন , কোভিড পরিস্থিতিতে আইপিএল আয়োজন করা হোক। এছাড়া বিসিসিআইয়ের একাধিক গুরু দায়িত্বের কাজ সাফল্যের সঙ্গে সামলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ জুটি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মেলার পর নট আউট থাকল সেই পার্টনারশিপ।