সংক্ষিপ্ত

পিএসএলে (PSL) অবাক করা কাণ্ড। ক্য়াচ মিস করায় সতীর্থকে চর মারলেন (Slaps Teammate) পেসার হ্য়ারিস রউফ (Haris Rauf)। যেই ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) নেট দুনিয়ায়। সমালোচনায় সরব নেটিজেনরা (Netizen)। উঠছে শাস্তির।
 

আইপিএলের (IPL) ইতিহাসে সেরা বিতর্কিত ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম মাঝমাঠে শ্রীসন্থকে (SreeSanth) হরভজন সিংয়ের (Harbhajan Singh) চর মারার ঘটনা। ২০০৮ সালে ঘটেছিল এই ঘটনা। সেই সময় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) ও কিংস ইলেভেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবে খেলার সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল। মুম্বইয়ের হয়ে খেলতেন হরভজন, শ্রীসন্থ ছিলেন পঞ্জাবের ক্রিকেটার। ম্য়াচ শেষে স্রীসন্থ ভাজ্জির সামনে গিয়ে অতিরিক্ত বিজয় উল্লাস দেখাচ্ছিলেন। মাথা ঠান্ডা না রাখতে পেরেল কষিয়ে চর বসিয়েছিলেন হরজন। মাঠেই কাঁদতে দেখা যায় কেরল এক্সপ্রেসকে। যা নিয়ে চরম বিতর্ক হয়। এই অপরাধের পর ১১ ম্য়াচ নির্বাসন হয়েছিল হরভজন সিংয়ের। ১৪  বছর পর প্রায় সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তবে এবারের ভারতের মাটিতে নয়, ক্রিকেট মাঠে চর মারার ঘটনা ঘটল পাকিস্তান সুপার লিগে।

পিএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি  হয়েছিল লাহোর কালান্দার্স ও পেশোয়ার জালমি। ম্য়াচ চলাকালীন সতীর্য কামরান গুলামকে চর মারেন পেসার হ্যারিস রউফ (Haris Rauf)। ম্য়াচের দ্বিতীয় ওভারে বল করছিলেন হ্য়ারিস রউফ। ওভারের দ্বিতীয় বলে হজরতুল্লা জাজাইয়ের ক্য়াচ ফেলেন কামরান গুলাম (Kamran Ghulam)। সোজা ক্য়াচ মমিস করায় রেগে গিয়েছিলেন হ্যারিস রউফ। সেই ওভারেই মহম্মদ হ্যারিসকে বাউন্সার দেন হ্য়ারিস রউফ। সেই বলে মারতে গিয়ে ক্য়াচ দেন মহম্মদ হ্যারিস। সেই ক্য়াচ ধরেন কামরান  গুলাম। উইকেট পাওয়ার পরে সবাই যখন উল্লাস করছেন তখনই দেখা যায় গুলামকে চড় মারেন হ্যারিস।  তাঁর এই কাণ্ড দেখে হতবাক হয়ে যান সতীর্থরাই। যদিও কামরান মার খাওয়ার পরেও হাসি ঝুলিয়ে রেখেছিলেন মুখে। কিন্তু রউফের দৃষ্টি দেখে মনে হয়নি তিনি মোটেও অনুতপ্ত।  এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সকলেই হ্য়ারিস রউফের এমন ঘটনারর নিন্দা করেন। তার শাস্তির দাবিও উঠেছে  নেট দুনিয়ায়। একই ঘটনা ঘটিয়ে যদি হরজন সিংয়ের মত তারকার শাস্তি হতে পারে ২০০৮ সালে আইপিএলে। তাহলে হ্যারিস রউফের কেন হবে না। 

 

 

ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫৮ করে পেশোয়ার জালমি। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে সমান রান করে লাহোর কালান্দার্স। ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে যায়। অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদির ২৩ রানের দৌলতে ম্যাচ জেতে পেশোয়ার। তবে হ্য়ারিস রউফের চর মারার ঘটনায় সালোচনার ঝড় চলছেই।