সংক্ষিপ্ত

রবিবার মহালয়ার পূণ্য লগ্নে মহিলা ঢাকিদের দিয়ে শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে এবার পুজোর সূচনা করল বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটি। কলকাতার বিরাটি থেকে আগত ১১ জনের মহিলা দল শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তাদের ঢাকের বাদ্যি মাতিয়ে তোলে গোটা এলাকা।  

পুজোর এবার ৭৫ বছর পূর্তি। নতুন কিছু প্রত্যাশা করেছিলেন মালদহের চাঁচলবাসী। দেবীপক্ষের সূচনাতেই তাঁদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করলেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। সাত সকালে মহিলা ঢাকীদের বাদ্যে ঘুম ভাঙলো চাঁচল বাসীর। দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে মহিলা ঢাকীদের নিয়ে শোভাযাত্রা করলো চাঁচলের বারোয়ারি দূর্গা পূজা কমিটি। এই প্রথম চাঁচলবাসী মহিলা ঢাকিদের ঢাক বাজানোর শিল্প প্রত্যক্ষ করলেন। মুগ্ধ সবাই।

সালটা ছিল তখন ১৯৪৮। তখন সবে মাত্র দেশ স্বাধীন হওয়ার এক বছর পেরিয়েছে। ঠিক ওই সময় থেকেই শারদোৎসবে মেতে ওঠেন মালদহের চাঁচলের বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা। সেই শুরু। 

রাজ পরিবারের দুর্গোৎসব চাঁচলে প্রথম পুজো হলেও, বারোয়ারি দুর্গাপুজো হিসেবে এই কমিটির পুজো কিন্তু প্রথম। এবছর তাঁদের পুজো ৭৫ বছরে পদার্পণ করেছে। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তাঁদের পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। আজ রবিবার মহালয়ার পূণ্য লগ্নে মহিলা ঢাকিদের দিয়ে শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে এবার পুজোর সূচনা করল বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটি। কলকাতার বিরাটি থেকে আগত ১১ জনের মহিলা দল শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তাদের ঢাকের বাদ্যি মাতিয়ে তোলে গোটা এলাকা।  

ঢাকের বোল তুলে গোটা শহর তারা পরিক্রমা করেন। শোভাযাত্রাকে ঘিরে চাঁচল শহরের মহিলা থেকে সকলেই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এক কথায় আট থেকে আসি সকলেই শামিল হন পুজোর উৎসবে। মহালয়ার পর প্রতিপদ থেকে শুরু হচ্ছে পুজো। পুজোকে ঘিরে থাকছে নানান সামাজিক কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজোর ৭৫ বছরে মায়ের সাজেও থাকছে বিশেষ চমক। বর্ধমানের কাটোয়া থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে মায়ের সাজ। চন্দননগরের চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা থাকছে। এই পুজোকে ঘিরে বসে মেলা। অষ্টমীর দিন থেকে শুরু হয়ে যায় মেলা। চলে দশমী পর্যন্ত।

দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতি দীপঙ্কর রাম বলেন,মহিলা ঢাকিদের নিয়ে সূচনা হলো পুজো। পুজোকে ঘিরে থাকছে নানান অনুষ্ঠান।