সংক্ষিপ্ত

 বছর গোটা রাজ্যে আড়াইশোর বেশি পুজো উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজই প্রথম নয়, আগেই  পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। কারণ মহালয়ার আগেই সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজো উদ্বোধন করেছেন।

চলতি বছর গোটা রাজ্যে আড়াইশোর বেশি পুজো উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজই প্রথম নয়, আগেই  পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। কারণ মহালয়ার আগেই সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজো উদ্বোধন করেছেন। আর  ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিয়ম মেনে মহালয়ার দিন তিনি যেখন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হামিকের পুজো উদ্বোধন করেন এবারও তার অন্যথা হয়নি। মহায়লার দিনেই চেতলা অগ্রনীর পুজো উদ্বোধন করেন তিনি। তবে অন্যান্যবার তিনি কলকাতা ও কাছাকাছি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুজোই উদ্ধোধন করেন। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পরিধি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন। 

 রাজ্যের প্রায় ২৫৩টি ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করেন তিনি। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব পুজো উদ্বোধন করবেন সেগুলি হলঃ

তালিকা অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার হাওড়ার পাশাপাশি নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-এর মত দূরের জেলাগুলির পুজো উদ্বোধন করেন। আর সেই কারণে আগেই  প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল, জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের। সূত্রের খবর অধিকাংশ পুজোই ভার্চুয়াল পদ্ধতি বা রিমোটকন্ট্রোলের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন তিনি। আর সেই কারণে সংশ্লিষ্ট পুজো মণ্ডপগুলিতে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রযুক্তি সেটআপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে বিডিও আর এসডিও-দেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। আর উদ্বোধনের সময় অর্থাৎ বিকেল ৪টের আগেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের নির্দিষ্ট মণ্ডপে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। 

চলতি বছর একাধিক পুজো উদ্বোধন করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো হিসেবে খ্যাত নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো উদ্বোধনে। কারণ ক্লাব সূত্রের খবর আমন্ত্রণ পত্র পাঠান হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারি তরফে কিছু বলা হয়নি। মমতার ঘনিষ্ট মহলের ধারনা,  তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছোঁয়া এড়িয়ে চলবেন। সেই কারণেই ।াবেন না নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো উদ্বোধনে।  

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি রাজ্যের একাধিক পুজো উদ্ধোধনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন প্রচন্ড ব্যস্ততা থাকেন দিদি (দিদি)। আর সেই কারণে একটি মঞ্চ থেকে একাধিক পুজো উদ্ধোধনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।