সংক্ষিপ্ত
নিবাচনী বিধির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করায় নির্বাচন কমিশন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল যোগী ও মায়াবতীর ভোট প্রচারের উপরে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য প্রচার করতে পারবেন না। নিবাচনী বিধির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করায় নির্বাচন কমিশন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল যোগী ও মায়াবতীর ভোট প্রচারের উপরে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, উসকানি মূলক মন্তব্য করার জন্য মায়াবতী আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভোট প্রচার করতে পারবেন না। অন্যদিকে যোগী আদিত্যনাথ এমন সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন যার জন্য টানা ৭২ ঘণ্টার জন্য তার ভোট প্রচারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোট ১৮ এপ্রিল। তাই এই ভোটের জন্য তাঁরা নিবার্চনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।
অথচ দ্বিতীয় দফার ভোট অর্থাৎ ১৮ এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশের ৮টি আসনে নির্বাচন। তাই এই মুহূর্তের ভোট প্রচার যোগী ও মায়াবতী দুজনের জন্যই যে গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।
মায়াবতী ও যোগীর এই মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোটের্র দ্বারস্থ হয়। কমিশন জানায় নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করলেও তাদেরকে ভোটে লড়তে না দেওয়ার একতিয়ার নেই কমিশনের। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। নির্বাচন কমিশনেরই একজন প্রতিনিধিকে এই ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য নিযুক্ত করেন। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে যোগী ও মায়াবতীর জন্য কড়া পদক্ষেপ করেন নির্বাচন কমিশন। তাঁদের নির্বাচনী প্রচারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে বিজেপি ও বসপা রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।