সংক্ষিপ্ত

  • এবারের লোকসভা নিবার্চনে আরও একবার বিতকের্র মুখে পড়ছে বামেরা। ইংরেজি উচ্চারণকে ব্যঙ্গ করায় নেটিজেনদের সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় মধ্যমা দেখিয়ে শতরূপ ঘোষকেও বিরোধীদের নিন্দার মুখ পড়তে হয়।
  • এবার কনীনিকা বোস ঘোষের একটি পোস্ট ঘিরে  আলোচনা শুরু হল রাজনৈতিক মহলে। ওই পোস্টটি নাকি পরোক্ষ ভাবে তৃণমূলকে পেটানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

এবারের লোকসভা নিবার্চনে আরও একবার বিতকের্র মুখে পড়ছে বামেরা। ইংরেজি উচ্চারণকে ব্যঙ্গ করায় নেটিজেনদের সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় মধ্যমা দেখিয়ে শতরূপ ঘোষকেও বিরোধীদের নিন্দার মুখ পড়তে হয়। এবার কনীনিকা বোস ঘোষের একটি পোস্ট ঘিরে  আলোচনা শুরু হল রাজনৈতিক মহলে। ওই পোস্টটি নাকি পরোক্ষ ভাবে তৃণমূলকে পেটানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর কলকাতার সিপিএম প্রার্থী কনীনিকা বোস ঘোষ তাঁর ফেসবুক একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে গৌতম দেবের ছবি সহ লেখা, বিজেপি নাকি তৃণমূলকে পেটাতে পারবে এই আশায় কেউ কেউ বিজেপিকে ভোট দিতে বলছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাগে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা ভাববেন না, এই নির্বাচনে বামফ্রন্টের আসন বাড়লে আপনারা যা চাইছেন তা আমরাই করতে পারব, কোনো বিজেপি লাগবে না। 

 

 

এই পোস্টের পরেই প্রশ্ন ওঠে তা হলে কি কোনও ভাবে পেটানোর কথাই ইঙ্গিত করছে সিপিএম। এ বিষয়ে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা থেকে কনীনিকা বোস ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ""আমরা তো পেটানোর রাজনীতি করি না। সিপিএম বদলার রাজনীতি করে না। এটি গৌতম দেবের কোট। এখানে যা চাইছেন বলতে, মানুষ যা চাইছে তার কথাই বলা হয়েছে। মানুষের জন্যই কাজ করবে বামফ্রন্ট। 

এই বিষয়ে উত্তর কলকাতার তৃণমূল  প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে যোগাযোগ করা যায়নি। কিন্তু তাঁর সহধর্মিনী তথা তৃণমূল নেত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি পোস্টটা দেখিনি। আর কে কী পোস্ট করলেন তাতে কিছু যায় আসে না। বাংলার মানুষ জানে কাকে চায় তারা। ২৩ তারিখ ভোট বাক্সে প্রমাণ হয়ে যাবে, তারা কী চায়।"

অন্যদিকে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা পোস্টটি কোনও ভাবে বিজেপি পেটানোর রাজনীতি করে বলে প্রতিপন্ন করে। এই  বিষয়ে উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা বলেন, "সিপিএম-এর এখন কিছুই নেই। মন চেয়েছে তাই এমন বিবৃতি দিয়েছে, তাতে কিছু আসে যায় না। মানুষ বুঝে গেছে তৃণমূলের হাত থেকে বাঁচতে গেলে বিজেপি ছাড়া কোনও রাস্তা নেই।"

প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ মে সপ্তম দফায় উত্তর কলকাতা একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে ২০১৪-এ জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সুদীপবন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই কেন্দ্রে কে ক্ষমতায় আসে তাই দেখার।