সংক্ষিপ্ত
বুমেরাংই করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রশ্ন উঠল তাঁর শালীনতা, মাত্রাবোধ ও রুচি নিয়ে।
মমতার উচ্চারণ। নির্বাচনী প্রচারে সেই ব্যাঙ্গকে হাতিয়ার করে বুমেরাংই করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রশ্ন উঠল তাঁর শালীনতা, মাত্রাবোধ ও রুচি নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ট্রোল করা হল সিপিআই রাজ্য সম্পাদককেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝড়ের গতিতে কথা বলেন। মানুষের মন পাওয়ার জন্যে যেখানে যান সেখানকার ভাষার মূল সুরটি ধরার চেষ্টা করেন। যাঁরা তাঁর সভা দেখেন তাঁরা একথা বিলক্ষণ জানেন তার ইংরেজিও বিলেতি কেতার নয়। ভাঙা ভাঙা বুলি বোলায়ত দিয়েই তিনি আপামর রাজ্যবাসীর মন জয় করেছিলেন। মানুষই জবাব দিয়েছিল "আমরা ২৩৫ ওরা ৩০" ঔদ্ধত্যের। কিন্তু তার পরেও আক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়েছে বারবার। অনিল বসু থেকে বিমান বসু বারবার মাত্রা ছাড়িয়েছেন। সেই পরম্পরাই বজায় রাখলেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
এদিন টুইটে তিনি লেখেন, লাল পতাকাকে তুলে ধরতে বুঝে ভোট দিন। সঙ্গে ছিল মমতার উচ্চারণ বিকৃতির নমুনাস্বরূপ কিছু বাছাই ইংরেজি শব্দ। সূর্যকান্তের এই ট্যুইট নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেককেই একে কুরুচিকর বলে একহাত নিয়েছেন।
৪২ টি আসনে ভোট হ্চ্ছে এ রাজ্যে। সিপিএম নিজেও জানে হয়তো প্রধান বিরোধী হিসেবেও থাকা হবে না এই যাত্রায়। এই সময়ে এ হেন আস্ফালন কি সিপিএমকে আরও ব্যাকফুটে ফেলে দেবে না? নতুন প্রজন্ম ফিরিয়ে দিলে নিজেদের প্রায় নিভে আসা দেউটি কী ভাবে জ্বালিয়ে রাখবে সিপিএম? জানতে অপেক্ষা ২৩ মে পর্যন্ত।