সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে রাজনৈতিক হিংসা
- বিজেপি-র হাতে অনেক জায়গাতেই আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা
- সবথেকে পরিস্থিতি খারাপ ভাটপাড়ায়
ভোটের ফল বেরনোর পর এক সপ্তাহও কাটেনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি-র দাপটে কোণঠাসা শাসক দলের নেতা কর্মীরা। অনেক জায়গাতেই তৃণমূলের পার্টি অফিস চলে গিয়েছে বিজেপি-র দখলে। কোথাও আবার ঘরছাড়া শাসক দলের নেতাকর্মীরা। মাত্র কয়েকদিন আগেও যেখানে একচেটিয়া দাপট দেখাচ্ছিলেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা, সেখানে ভোটের ফল বেরোতেই পরিস্থিতি উল্টে গিয়েছে।
রাজ্যের মধ্যে শাসক দল সবথেকে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাটপাড়ায়। ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়েছিল ব্যারাকপুর এবং ভাটপাড়া অঞ্চল। তখন সেখানে তবু বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহের দলবলের সঙ্গে সমানে সমানে লড়ছিলেন শাসক দলের নেতা কর্মীরা। কিন্তু ভোটে ব্যারাকপুর লোকসভা এবং ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-র জয়ের পরে সেখানে বাস্তবিকই কোণঠাসা তৃণমূল কর্মীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এ দিন ভাটপাড়ার ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীদের পরিবারকে নিয়ে নবান্নে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে আক্রান্ত পরিবারগুলির দেখা করানোর ব্যবস্থা করা হয়। দ্রুত ঘরছাড়া পরিবারগুলিকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন ডিজ।
তার পরেও অবশ্য এখনই বাড়ি ফিরতে পারছেন না ওই ঘরছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁদের উপরে চাপ দিচ্ছে অর্জুন সিংহ এবং তাঁর দলবল। অন্যথায় খুন করা, মেয়েকে ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আপাতত ঝুঁকি না নিয়ে কলকাতায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে একটি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের ভাটপাড়ার বাড়িতে ফেরানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ডিজি।
অন্যদিকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জেও এ দিন তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। বিজেপি-র অবশ্য দাবি, পার্টি অফিস থেকে বোমা উদ্ধারের পরে ক্ষুব্ধ জনতাই তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। আবার কলকাতার দত্তাবাদে বিজেপি-র এক পোলিং এজেন্টকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ভোট পরবর্তী এই হিংসা দেখে অনেকেরই ২০১১ নির্বাচনের কথা মনে পড়ছে। তখনও একইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বাম নেতা কর্মীদের উপরে। ঘরছাড়া হতে হয়েছিল বহু বাম সমর্থককে। আট বছরের ব্যবধানে এবার তৃণমূল নিজেই একই ধরনের হামলার শিকার।