সংক্ষিপ্ত

সত্যজিৎ রায়ের পর বাঙালি কন্যার অস্কার জয়। সত্যজিৎ রায়ের পর আবার বাংলায় অস্কার চেয়ে তার আনন্দ ধরে রাখতে পারছেন না বাংলার দর্শক। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স' -এ সেরার শিরোপা পেয়ে বাংলাকে অস্কার তুলে দিয়েছে সঞ্চারী দাস মল্লিক।

অবশেষে অপেক্ষার অবসান। চলচ্চিত্র জগতের সবথেকে বড় পুরস্কার অস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তেজনা তুঙ্গে। ৯২ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জয়জয়কার এবারের অস্কারের মঞ্চে। পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়ের পর বাঙালি কন্যার অস্কার জয়। সত্যজিৎ রায়ের পর আবারও যে বাংলায় অস্কার চেয়ে তার আনন্দ ধরে রাখতে পারছেন না বাংলার দর্শক। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স' -এ সেরার শিরোপা পেয়ে বাংলাকে অস্কার তুলে দিয়েছে সঞ্চারী দাস মল্লিক।

এস এস রাজামৌলির 'আর আর আর' ছবির 'নাটু নাটু'গান জিতে নিল অস্কার। মৌলিক গানের বিভাগে সেরার শিরোপা পেল 'নাটু নাটু'। এই প্রথম অস্কার এল কোনও ভারতীয় ছবিতে।এই বিভাগে ২০০৯ সালে 'জয় হো' গানের জন্য অস্কার পেয়েছিলেন এআর রহমান, গুলজার, রসুল পুকুটি। তারপর কেটে গেছে বেশ কয়েকটি বছর। অস্কার নমিনেশনে নাম উঠলেও অধরাই ছিল অস্কার। দীর্ঘ বছর বাদে এই বিভাগে অস্কার ছিনিয়ে নিল 'আর আর আর' ছবির গান 'নাটু নাটু'। রিহানা,লেডি গাগার মতো তাবড় তাবড় পপ তারকাদের টেক্কা দিয়ে অস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে 'নাটু নাটু'। সমস্ত বড় বড় তারকাদের গানকে টেক্কা গিয়ে চূড়ান্ত জয় হয়েছে চন্দ্র বোস ও এমএম কীরাবাণীর। তেমনই 'নাটু নাটু'-র পাশাপাশি 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স' ও সেরার শিরোপা পেয়ে অস্কার জিতে নিয়েছে। ৯৫ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে ভারতের হয়ে প্রথম অস্কার পেয়েছে এই তথ্যচিত্র। সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে প্রযোজক গুনীত মোঙ্গা এবং পরিচালক কার্তিকি গানসালভেসের এই ছবি। তবে এই ছবিরই নেপথ্যে রয়েছে এক বাঙালি কন্যা, যিনি হলেন সঞ্চারী দাস মল্লিক।

 

 

সঞ্চারী দাস মল্লিকের হাত ধরেই বাংলার অস্কার জয়। যা অত্যন্ত গর্বের। এই ছবির সম্পাদনা এবং এডিটিং করেছেন সঞ্চারী দাস মল্লিক। তবে সঞ্চারী দাস মল্লিক একা নন, অনেকে মিলে এডিট করেছে এই তথ্যচিত্রটি, এবং সেই তালিকায় রয়েছেন বাঙালি কন্যা। তার এই জয় সকলের জয়। ২০২১ সাল থেকে ছবিটির এডিটিং শুরু হয়েছে। তখন গোয়াতে ছিলেন সঞ্চারী। এটাই ওর প্রথম তথ্যচিত্র। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকেই স্নাতক সঞ্চারি । সঞ্চারির মা সুভা দাস মল্লিকও একজন প্রখ্যাত তথ্যচিত্র নির্মাতা। এবং তিনিও সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউটে তিনি মাস কমিউনিকেশন পড়িয়েছিলেন। সঞ্চারীর দাদুও ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটির একজন প্রতিষ্ঠাতা। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের। গল্ফ গ্রিনের চলচ্চিত্র পরিবারের মেয়ে এই জয় সকলের জয়, বাংলার জয়।