সংক্ষিপ্ত

সোমবারেই চঞ্চল চৌধুরী এবং তাঁর ছবি ‘হাওয়া’ নিয়ে ফেসবুকে সরব রানা সরকার। পরের দিনই নতুন ছবির ঘোষণা প্রযোজকের। বাংলা ছবির ‘হাওয়া’বদল ঘটাতেই কি তড়িঘড়ি এই পদক্ষেপ?

সোমবারেই চঞ্চল চৌধুরী এবং তাঁর ছবি ‘হাওয়া’ নিয়ে ফেসবুকে সরব রানা সরকার। দুই বাংলার পছন্দের অভিনেতার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি হাওয়া নিয়ে এ পার বাংলার উন্মাদনাকেও কটাক্ষে বিঁধেছেন। তাঁর দাবি, বাংলাতেও এই ধারার ছবি হয়। তখন দর্শকেরা এ রকম উন্মাদনা দেখান না। পরের দিনই নতুন ছবির ঘোষণা প্রযোজকের। রানার আগামী ছবি ‘মীরজাফর’। পোস্টারেই তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘আমাদের গল্প শুনে খোকা ঘুমোয় না। খোকার পিলে চমকে যায়!’ বাংলা ছবির ‘হাওয়া’বদল ঘটাতেই কি তড়িঘড়ি এই পদক্ষেপ? প্রশ্ন রেখেছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। প্রযোজকের যুক্তি, ‘‘দক্ষিণী বিনোদন একের পর এক কমার্শিয়াল ছবি বানাচ্ছে। আর চুটিয়ে বাণিজ্য করছে। আমরা কপাল চাপড়াচ্ছি। রিমেকের দিন শেষ এটা বুঝতে হবে। বাণিজ্যিক ছবি আবারও রমরমিয়ে ফিরতে চলেছে। এটাও মনে রাখতে হবে। আমিও সেই পথে হাঁটতে চলেছি।’’

রানা চঞ্চলকে নিয়ে বলা তাঁর বক্তব্য নিয়েও মুখ খোলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি হাওয়া দেখেছি। খুব ভাল ছবি। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় নিয়েও নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু নন্দন চত্বরে যা হচ্ছে তা নিছকই পাগলামি। ও রকম করার মতোই কিছু ঘটেনি। যদিও এটা আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত। বাংলাদেশের অভিনেতার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ বা শত্রুতা নেই।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর আগামী ছবিতে মঞ্চের এই প্রজন্মের অভিনেতাদের পাশাপাশি দেখা যাবে এক দম নতুন মুখদের। পরিচালকও নতুন। অর্কদীপ মল্লিকা নাথের চিত্রনাট্য এবং পরিচালনায় এ যুগের মীরজাফরদের বিশ্বাসঘাতকতার কথাই বলবে এই ছবি। প্রযোজকের দাবি, বাংলা ছবির দুনিয়ায় টাটকা অক্সিজেন চাই। এক মুখ দেখতে দেখতে দর্শকেরাও একঘেয়েমিতে ভুগছেন। হয়তো সেই কারণেও তাঁরা প্রেক্ষাগৃহে যেতে চাইছেন না।

ছবিতে নতুন মুখ নিয়ে আসার অনুপ্রেরণা কি অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘বল্লভপুরের রূপকথা’? রানার যুক্তি, প্রযোজকেরা এগিয়ে না এলে নতুনদেরই বা কে সুযোগ দেবে? এই ভাবনা থেকেই তাঁর এই পদক্ষেপ। ছবিতে সীমান্তের অপরাধের গল্প দেখানো হবে। পোস্টারেও তারই ইঙ্গিত। বাতিঘরের আলো এড়িয়ে দুই দেশ বা দুই রাজ্যের মধ্যে কী ভাবে অবাধে অপরাধ ঘটে চলেছে তারই সাক্ষী এই ছবি। ১২ ডিসেম্বর থেকে ছবির শ্যুট শুরু হবে। যেহেতু ছবির পটভূমিকায় মীরজাফর এবং তার বিশ্বাসঘাতকতা, তাই অধিকাংশ শ্যুটিং হবে মুর্শিদাবাদে। পাশাপাশি, শ্যুট হবে কলকাতাতেও। রানার রসিকতা, পলাশির যুদ্ধের সময়েও মীরজাফর ছিল। এখনও আছে। আজকের মীরজাফরের চিহ্নিত করাই তাঁর লক্ষ্য।