সংক্ষিপ্ত

ঐন্দ্রিলার ধীর গতিতে সুস্থতার খবর এ দিন এশিয়ানেট নিউজ বাংলা আগেই দিয়েছিল। পরে সেই তথ্যে যেন সিলমোহর দিল সব্যসাচীর পোস্ট।

একটু একটু করে ডানা মেলার চেষ্টায় ফিনিক্স পাখি। একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সোমবার সে খবর জানিয়ে ফেসবুক পাতায় ফের কলম ধরলেন সব্যসাচী চৌধুরী। এ দিন বিকেলে তিনি লিখেছেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে।’ সব্যসাচীর তরফ থেকে এই খবর আসতেই উল্লাসে ফেটে পড়েছেন দুই অভিনেতার হাজার হাজার অনুরাগী। তাঁরা তো মন থেকে এটাই চেয়েছিলেন! একই সঙ্গে বারবারা তিন বার মুত্যুর মুখ থেকে তাঁর ঐন্দ্রিলাকে জীবনে ফিরিয়ে আনলেন ছোট পর্দার সাধক ‘বামদেব’।

ঐন্দ্রিলার ধীর গতিতে সুস্থতার খবর  এ দিন এশিয়ানেট নিউজ বাংলা আগেই দিয়েছিল। পরে সেই তথ্যে যেন সিলমোহর দিল সব্যসাচীর পোস্ট। অভিনেতা এ দিন আরও লেখেন, 'ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিন বার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে।' আপাতত সৌরভ আর দিব্য যে সব্যসাচীর ছায়া সঙ্গী এ খবরও প্রথম জানায় এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। সৌরভ নিজে ঐন্দ্রিলা সম্পর্কে প্রকাশিত একের পর এক ভুয়ো খবর নস্যাৎ করেছিলেন এই সংবাদমাধ্যমেই।

 

সব্যসাচীর গলা কি কানে পৌঁছোয় ঐন্দ্রিলার? তাঁর বক্তব্য তেমনই কথা জানাচ্ছে। ক্রমশ অতল ঘুম ভাঙছে অভিনেত্রীর। আর তাই সব্যসাচীর গলা কানে গেলেই তিনি গলা চিনতে পারেন। তখন হৃদস্পন্দন উত্তেজনায় বেড়ে ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়। দরদর করে ঘামতে থাকেন নায়িকা। হাত মুচড়িয়ে প্রেমিকের হাত ধরার চেষ্টা করেন। যদিও প্রথম প্রথম তাঁর এই আচরণে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা। ধীরে ধীরে বুঝেছেন, ওটাই তাঁর প্রিয়াকে চেতনায় ফিরিয়ে আনার 'এক্সটার্নাল স্টিমুলি'। তা হলে কি আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ নায়িকা? অভিনেতার দাবি, ‘‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ড ভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে। কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।'

এ দিনও আরও একবার সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ার উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন সব্যসাচী। তাঁর অনুযোগ, ‘আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক্ থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি। সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।’