সংক্ষিপ্ত

সব্যসাচীর আশ্বাসবাণীতে বিশ্বাস রেখে তুলনায় উৎকণ্ঠা থিতিয়েছে। বুধবার সৌরভের ছোট্ট বার্তা তাতেই যেন আরও একটু শান্তির প্রলেপ দিল।

ভাল আছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সব্যসাচী চৌধুরীর পরে এই খবর জানালেন সৌরভ দাসও। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে ফের খবর ছড়িয়ে পড়ে, নতুন সংক্রমণে আক্রান্ত অভিনেত্রী। জানামাত্র উদ্বিগ্ন নায়িকার অনুরাগীরা। বুধবার তাঁদের আশ্বাস দিলেন খোদ ‘মণ্টু পাইলট’। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় লিখে পাঠিয়েছেন, ‘ভাল আছেন ঐন্দ্রিলা। আর জ্বর আসেনি। অবস্থা স্থিতিশীল।’ তাঁর বার্তায় নতুন সংক্রমণের কোনও কথাই নেই!

এশিয়ানেট নিউজ বাংলায় প্রথম কলম ধরেছিলেন সৌরভ। যাবতীয় ভুয়ো খবর নস্যাৎ করে লিখেছিলেন, ‘অসুস্থতার দিন থেকে শুরু করে তার প্রতিটি দিন ঐন্দ্রিলা শর্মা যেমন ছিল তেমনি আছেন। আপনাদের একটা কথাও মিথ্যে বলছি না। বাজে স্বান্তনাও দিচ্ছি না। বরং আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি, দয়া করে সূত্রের খবরে বিশ্বাস করবেন না! নতুন করে ওর কোনও অবনতি হয়নি!’ কারণ, সব্যসাচী, দিব্যপ্রকাশ রায় আর ঐন্দ্রিলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অভিনেতাও ভেন্টিলেশন ঘরের বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে। তাঁরা পালা করে থাকছেন। কাচের ঘরের বাইরে থেকে দেখে যাচ্ছেন ওঁকে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে ঐন্দ্রিলা লড়ছেন। ওঁর সঙ্গে লড়ছে গোটা হাসপাতাল। মিনিটে মিনিটে হৃদস্পন্দন, নাড়ির গতি মাপা হচ্ছে।

 

 

১ নভেম্বর মস্তিষ্কে আচমকা রক্তক্ষরণ ঐন্দ্রিলা শর্মার। তড়িঘড়ি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার। খবর ছড়ানোর পর থেকেই ঐন্দ্রিলার পরিবার, সব্যসাচী, সৌরভদের সঙ্গে যেন রাত জাগা শুরু অসংখ্য অনুরাগীদের। তাঁদের সম্মিলিত প্রার্থনা, ‘ফিনিক্স পাখি হয়ে ওড়ো ঐন্দ্রিলা।’ রাজ চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরা, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, অনীক দত্ত সহ বাংলার সমস্ত তারকারা ফেসবুকে একজোট। তাঁদের আশ্বাস, ‘পাশে আছি ঐন্দ্রিলা। তুই শুধু চোখ মেলে উঠে বোস।’ সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার ছবি ভাগ করে নিয়ে তাঁদের লড়াই, ভালবাসাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অগণিত সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহারকারী। সবার একটাই বিশ্বাস, একমাত্র সব্যসাচীই পারবেন তাঁর ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনতে।

ছোট পর্দার ‘সাধক বামদেব’ সেই বিশ্বাস কলমের জোরে আরও জোরালো করেছেন। তিনি ফেসবুকে প্রথম লেখেন, ‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম। নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না।’ এর পরে আবারও তিনি কলম ধরেন ৭ নভেম্বর। ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবিস্তার জানিয়ে লেখেন, ‘ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক। রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিন বার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। গলা চিনতে পারে। হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায় তখন। উত্তেজনায় দরদর করে ঘেমে ওঠে। হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম। এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।’

 

 

সব্যসাচীর আশ্বাসবাণীতে বিশ্বাস রেখে তুলনায় উৎকণ্ঠা থিতিয়েছে। বুধবার সৌরভের ছোট্ট বার্তা তাতেই যেন আরও একটু শান্তির প্রলেপ দিল।