সংক্ষিপ্ত

পঞ্চাশের দশকে নিজের অভিনব গায়কিতে লোকগানের জগতে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তবে শুধু গায়ক হিসেবেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি।

পথের প্রান্তে মিলিয়ে গেল সুর। ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত গায়ক হ্যারি বেলাফন্টে। মঙ্গলবার ম্যানহাটনের আপার ওয়েস্ট সাইডে নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন গায়ক। জানা যাচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় নবতিপর শিল্পীর। বেলাফন্টের দীর্ঘদিনের সঙ্গী তথা তাঁর মুখ্যপাত্র কেন সানসাইনই খবরটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। একসময় আমেরিকার বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে বেলাফন্টের গান হয়ে উঠেছিল হাতিয়ার। পঞ্চাশের দশকে নিজের অভিনব গায়কিতে লোকগানের জগতে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তবে শুধু গায়ক হিসেবেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি। আমেরিকার সামাজিক আন্দোলনেও হ্যারি বেলাফন্টে একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম। জানা যায় রুপোলি পর্দায় অভিনয় করতেও নেমেছিলেন তিনি।

আমেরিকায় তখন বর্ণবৈষম্য ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভেদাভেদের বেড়াজ্বাল পেরিয়ে বৃহত্তর সমাজের কাছে পৌঁছতে পেরেছিল এক অ-শ্বেতাঙ্গের কণ্ঠ। তাঁর গায়কি তোলাপার করেছিল গোটা আমেরিকাকে। হার্লেমের এক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অভিবাসী পরিবারে জন্ম হয় বেলাফন্টের। নিজের গানের মধ্য দিয়েই তিনি ধরে রেখেছিলেন পূর্বপুরুষের শিকর। তাঁর আগে আমেরিকার বিনোদন জগতে এলা ফিটৎজ়েরাল্ড বা লুই আর্মস্ট্রংয়ের মতো শিল্পীরা এলেও অনেকের মতে ক্যারিবিয়ান-আমেরিকান শিল্পীদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সফলতম। 'ডে-ও', 'জামাইকা ফেয়ারওয়েল' বা 'ক্যালিপসো'-এর মত একের পর এক অ্যালবাম দিয়ে মাতিয়েছিলেন অতলান্তিকের দু'পার। তাঁর হাত ধরেই ক্যারিবিয়ান মিউজিক এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল। এছাড়াও 'দ্য বানানা বোট সং', 'জাম্প ইন দ্য লাইন', 'কারমেন জোন্স','আইল্যান্ড ইন দ্য সান','ওডস এগেনস্ট টুমরো'-এর মত একের পর এক গান পঞ্চাশের দশকে গানের জগৎ মাতিয়েছিলেন তিনি।