সংক্ষিপ্ত

আচমকাই প্রয়াত হলেন সঙ্গীতশিল্পী বাণী জয়রাম। শনিবার চেন্নাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বর্ষীয়ান গায়িকা দেহ। মৃত্যুকালে গায়িকার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে সঙ্গীতশিল্পী বাণী জয়রামের। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীত জগতে।

ফের দুঃসংবাদ। থেমে গেল সুরেলা কন্ঠ। আচমকাই প্রয়াত হলেন সঙ্গীতশিল্পী বাণী জয়রাম। শনিবার চেন্নাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বর্ষীয়ান গায়িকা দেহ। সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা গিয়েছে গায়িকার মৃত্যর খবরে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত্যুকালে গায়িকার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে সঙ্গীতশিল্পী বাণী জয়রামের। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীত জগতে।

বাণী জয়রাম তামিল, তেলেগু এবং কন্নড় সহ ১৯টি ভাষায় গান গেয়েছেন বাণী জয়রাম। গানের জগতে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে কেন্দ্রীয় সরকারের পদ্মভূষণ পুরস্কার সম্মান পেয়েছেন বাণী জয়রাম। আধুনিক ভারতের মীরা হিসেবেই পরিচিত এই গায়িকা। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ঝুলিতে আসে তার। এই সম্মান পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশও করেছিলেন তিনি। বাণী জয়রাম জানিয়েছিলেন, দেরিতে এলেও এই সম্মানের জন্য আমি খুশি, গর্বিত। গায়িকার মৃত্যুতে সকলেই ভেঙে পড়েছেন।

আচমকা কীভাবে মৃত্যু হল বাণী জয়রামের,তা নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চেন্নাই পুলিশের থাউসেন্ড লাইটস থানার আধিকারিকরা। পুলিশি তদন্তেক প্রথম পর্যায়ে জানা গেছে,তিনি নিচে পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পান এবং নিজের বেডরুমে মারা যান। তদন্তে আর জানা গেছে, বাণী জয়রামের বাড়িতে যে মহিলা কাজ করেন তিনি বলেছেন, তার শরীরে কেউ আঘাত করতে পারে। বাণী জয়রামের পরিচারিকা মালারকোদি সাংবাদিকদের জানান, বাণী জয়রাম তার বাড়িতে একা থাকেন। গত ১০ বছর ধরে আমি বাড়ির সমস্ত কাজ করতাম। যথারীতি আজ সকাল ১০.৪৫-এ আমি বাড়িতে পৌঁছে কলিং বেল টিপি। কেউ দরজা না খুলতে ৫ বার আবার কলিং বেল বাজাই। তারপর আমি ফোনও করেছি অনেকবার, কিন্তু একবারও ফোন ধরেনি। তারপর আমি আমার স্বামীকে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানাই। আমার স্বামীও ফোন করেন তিনি তার ফোনটাও রিসিভ করেননি। তারপর সন্দেহ হতেই লোকজনকে ডাকি, তারপর সবাই মিলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরিচারিকার অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গায়িকা মাথায় , পায়ে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে যা নিয়ে সন্দেহ করছে পুলিশ। আপাতত মৃত্যুর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

তামিলনাডুর ভেলোরে তামিল পরিবারেই জন্ম হয় বাণী জয়রামের। ছোট থেকেই সঙ্গীত ছিল তার রন্ধে রন্ধে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন ছোট বয়সেই। মায়ের অনুপ্রেরণা থেকেই গুরু রঙ্গ রামানুজ আয়েঙ্গারের কাছে গানের সাধনা শুরু করেন বাণী জয়রাম। তারপর কাদালুর শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার, টি আর বালাসুব্রহ্মণিয়ান এবং আর এস মণির মতো গুরুদের কাছে কর্ণাটকী সঙ্গীতের তালিম নেন। ১৯৬০ সালের শেষে স্বামী জয়রামের হাত ধরেই মুম্বইতে এসেই গানের সফর শুরু করেন। তাকপর হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের গুড্ডি ছবিতে গানের সুযোগ পান। এই গান দিয়েই বলিউডে প্লে-ব্যাক করেন বাণী। হেমা মালিনী অভিনীত গুলজারের মীরা ছবিতে সব গান তিনি গেয়ছিলেন। জয়া বচ্চনের বিখ্যাত গান বোল রে পাপিহরা গানটিও তারই গাওয়া। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ভীষণই জনপ্রিয়। একটা সময় দাপটের সঙ্গে গানও করেছেন তিনি। তার ঝুলিতে বাংলা গানও রয়েছে। বাণী জয়রাম গেয়েছিলেন আমার রাধা হওয়া আর হল না। তবে শেয বয়সটাতে প্রচারের আড়ালেই থেকেছেন বাণী জয়রাম।

 

আরও পড়ুন-

উত্তমের সময়েও রবি ঘোষ 'একাই একশো', মৃত্যুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা বাংলা সিনেমার কিংবদন্তিকে

৫০-এর কোটায় পৌঁছেও লাস্যময়ী উর্মিলা, 'রঙ্গিলা গার্ল'-তকমা পেয়ে কেন খুশি নন বলি হট ডিভা?

রাজকীয় বিয়ের স্বত্ব কোন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা? ফাঁস হল আসল সত্য