সংক্ষিপ্ত

পুলিশের জালে ধরা পড়া অপরাধিই কি সইফের হামলাকারী? এবার ডিজিটাল ফেসিয়াল রিকগনিশন টেস্ট করবে মুম্বই পুলিশ

গত ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রার বাসভবনে অভিনেতা সাইফ আলি খানের উপর হামলার মূল সন্দেহভাজন শরিফুল ফকিরের উপর ডিজিটাল ফেসিয়াল রিকগনিশন টেস্ট (FRT) করতে চলেছে মুম্বাই পুলিশ। তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, শরিফুলের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ দূর করতে তাকে কালিনার ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (FSL) নিয়ে যাওয়া হবে।

১৬ জানুয়ারি রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে সত্যগুুরু শরণ ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তি, সাইফের ১১ তলার ফ্ল্যাটে উঠে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি কি আসলেই শরিফুল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কর্তৃপক্ষ। তদন্তে সহায়তা করার জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে রক্তের নমুনা, রক্তমাখা পোশাক এবং অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন।

“মুখ শনাক্তকরণের মাধ্যমে সাইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া মুখের সাথে মিল পাওয়া উচিত। বিশ্লেষণের সময় ফরেনসিক পরীক্ষকরা মুখের সামগ্রিক আকৃতি এবং গঠন বিবেচনা করবেন,” জানিয়েছেন মামলাটির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।

শুক্রবার বান্দ্রা আদালতে পুলিশ জানায়, তদন্তে শরিফুল সহযোগিতা করেননি। তার ফোনে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে, যা তার আসল পরিচয় নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে। “আমরা আবিষ্কার করেছি যে শরিফুল বাংলাদেশে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে টাকা পাঠিয়েছিল,” কর্মকর্তা আরও জানান।

FRT পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে আদালত শরিফুলের হেফাজত আরও পাঁচ দিন বাড়িয়েছে। পুলিশের মতে, এই অত্যাধুনিক পরীক্ষা অভিযুক্তের পরিচয় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

“সিসিটিভি ফুটেজ ঝাপসা হওয়ায় FRT আমাদের অভিযুক্তের পরিচয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। পরীক্ষায় বিভিন্ন কোণ থেকে শরিফুলের মুখের তুলনা করা হবে এবং সেগুলি বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে, যার মধ্যে রয়েছে সে যেসব জায়গা দিয়ে ভ্রমণ করেছে,” ব্যাখ্যা করেন ওই কর্মকর্তা।