সংক্ষিপ্ত

  • মা'কে নিজের নাম উপহার দিলেন চিত্রাঙ্গদা
  • এর জন্য বেছে নিলেন ফাদার্স ডে-র দিনটি
  • ফেসবুকে পোস্ট করে এমনটাই জানিয়েছেন চিত্রাঙ্গদা

আপনাকে যদি মায়ের জন্য কোনও উপহার কিনতে বলা হয়, তাহলে আপনি কী দেবেন। হয়তো, মায়ের হাতে তুলে দেবেন তাঁর সবথেকে পছন্দের জিনিসটি, বা ট্রিট হিসাবে হয়তো মাকে ঘুরতে নিয়ে যাবেন তাঁর পছন্দের কোনও জায়গায়, বা হয়তো বড় কোনও রেস্তোরাঁয় নিয়ে গিয়ে দেবেন কোনও গ্র্যান্ড লাঞ্চ বা ডিনার। 

কিন্তু অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী মা শতরূপা সান্যালকে এমন এক উপহার দিলেন, যা হয়তো আগে কেউ কখনও ভাবেননি। এমনিতে অনেকেই নিজের নামের সঙ্গে পিতৃপ্রদত্ত পদবী ব্যবহার না করে মায়ের পদবী ব্যবহার করেন। কিন্তু চিত্রাঙ্গদার ইচ্ছেটা ছিল একটতু অন্যরকম। মা'কে উপহার হিসেবে নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে দিলেন মায়ের নাম। আজ থেকে সকলের কাছে চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী পরিচিত হবেন চিত্রাঙ্গদা শতরূপা নামে। 

প্রসঙ্গত ছোটবেলা থেকেই বাবা উৎপলেন্দু চক্রোবর্তীর সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ নেই দুই বোন চিত্রাঙ্গদা ও ঋতাভরীর। বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক উৎপলেন্দু চক্রোবর্তীর বিরুদ্ধে মা শতরূপা সান্যালের ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন দুই বোন। একথা অবশ্য নিজে মুখে স্বীকারও করেছিলেন মা শতরূপা সান্যাল। সেই থেকেই দুই মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকেন তিনি। বলা চলে দুই মেয়েকে একা হাতেই মানুষ করেছেন তিনি। 

গতকাল ছিল ফাদার্স ডে, আর এই দিনটিতেই মা'কে তাঁর জীবনের সেরা উপহারটি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন চিত্রাঙ্গদা। গতকাল চিত্রাঙ্গদা তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, ''এখন থেকে আমি 'চিত্রাঙ্গদা শতরূপা' নামেই পরিচিত হব। পৃথিবীতে যদি এমন কেউ থেকে থাকেন যাঁর নাম আমি নিজের সঙ্গে বয়ে নিয়ে যেতে চাই, সে হল আমার মা, শতরূপা সান্যাল। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এটাই মা,বাবা এবং সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসাবে মা'কে দেওয়া আমার সেরা উপহার। আইন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় প্রায় শেষের পথে। আর মাত্র কিছু নিয়ম-কানুন বাকি। এবং আজকের পর থেকে যাবতীয় ক্ষেত্রে আমি এই নামটিই ব্যবহার করব। হ্যাপি ফাদার্স ডে মা।''

মেয়ের এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন মা শতরূপা সান্যালও। তিনি লেখেন, ''আমার কন্যা চিত্রাঙ্গদা আজ থেকে “ চিত্রাঙ্গদা শতরূপা” নামে পরিচিত হবে। সে চায় তার নামের সঙ্গে মাকে জড়িয়ে রাখতে। তার মনে হয়েছে- মা-ই তার বাবা, বন্ধু এবং পারিবারিক উত্তরাধিকার!''  তাঁর কাছে এই উপহার যে কতখানি স্পেশাল তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।