সংক্ষিপ্ত
যশরাজ ফিল্মস জানিয়েছে যে এবার ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরি করবে তারা। তাঁদের নতুন ওয়েব সিরিজের নাম দ্য রেলওয়ে মেন।
ওটিটি বিশ্বে (OTT world) পা রাখতে চলেছে যশরাজ ফিল্মস (Yash Raj Film entertainment)। তাঁদের যাত্রা শুরু হচ্ছে এমন এক বিষয়কে ঘিরে, যা দেশের মানুষের বুকে এক গভীর ক্ষত তৈরি করে রেখেছে আজও। ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা (Bhopal Gas Tragedy)। এই প্রোডাকশন হাউস জানিয়েছে যে এবার ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরি করবে তারা। এই সিরিজে থাকবেন কে কে মেনন (Kay Kay Menon), বাবিল খান এবং আর মাধবন। তাঁদের নতুন ওয়েব সিরিজের নাম দ্য রেলওয়ে মেন। যশরাজ ফিল্মসের তরফে জানানো হয়েছে এই ওয়েব সিরিজ হবে ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির অজ্ঞাত নায়কদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।
দ্যা রেলওয়ে মেন ২০২২ সালের দোসরা ডিসেম্বর স্ট্রিমিং করা হবে। দ্য রেলওয়ে মেন-এর নির্মাতারা দোসরা ডিসেম্বর এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। যশ রাজ ফিল্মসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অক্ষয় উইধানি একটি প্রেস রিলিজে বলেছেন, "ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি হল বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শিল্প বিপর্যয় যা ৩৭ বছর আগে মানুষের জীবন বদলে দিয়েছিল। এই ট্র্যাজেডির অজ্ঞাত নায়কদের প্রতি এই ওয়েব সিরিজ আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি যারা সেই দুর্ভাগ্যজনক দিনে হাজার হাজার জীবন বাঁচানো সত্ত্বেও, এখনও সারা বিশ্বের মানুষের কাছে অজানা।"
১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা (Bhopal Gas Tragedy)। এখনও ভারতের কাছে এক অভিশপ্ত দিন। ৩৭ বছর পরেও সেই ভয়ঙ্কর দিনটি পালন করা হয় জাতীয় দূষণ প্রতিরোধ দিবস (National Pollution Prevention Day 2021) হিসেবে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখে দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনটি পালন করা হয়। ২-৩ ডিসেম্বর রাতে ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডের কীটনাশন প্ল্যান্ট থেকে মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাস লিক করেছিল। যার ভারতের ভয়ঙ্কর শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে আজও চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
২-৩ ডিসেম্বর রাতে ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডের কীটনাশন প্ল্যান্ট থেকে মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাস লিক করেছিল। যার ভারতের ভয়ঙ্কর শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে আজও চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
এই ট্র্যাজেডিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষের। আরও পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষের জীবন নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তারপর, ৩৭ টা বছর কেটে গিয়েছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা সুখ-দুঃখের মায়ার বাইরে চলে গিয়েছেন। কিন্তু, যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, এই ৩৭ টা বছর ধরে অপেক্ষা করেছেন ন্যায়বিচারের।