সংক্ষিপ্ত

দর্শনে স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের আরাত্রিকা বসু এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করা বি চন্দ বিদু। তাঁরা দু’জনে চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিল্পী সালভাদোর দালির মুখের আদলে একটি মুখোশের ছবি এঁকেছিলেন। 

মন যেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছিল না। বিশ্বাস না করার মতোই বিষয়। আসলে যাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দেওয়ালে গ্রাফিতি এঁকেছিলেন সেই মানুষই ওই ছবি দেখে প্রশংসা করবেন এটা ভাবতেই পারেননি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পড়ুয়া। আর নিজেদের আঁকা ছবি প্রশংসিত হচ্ছে এটা দেখার পর আনন্দে ফেটে পড়েছেন তাঁরা।

দর্শনে স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের আরাত্রিকা বসু এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করা বি চন্দ বিদু। তাঁরা দু’জনে চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিল্পী সালভাদোর দালির মুখের আদলে একটি মুখোশের ছবি এঁকেছিলেন। ওয়েব সিরিজ় ‘মানি হাইস্ট’-এর জন্য সারা দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে ওই মুখোশটি। আর এবার সেই ছবির প্রশংসা করলেন ওই সিরিজে টোকিয়োর চরিত্রে অভিনয় করা উর্সুলা করবেরো।

 

View post on Instagram
 

 

ওই সিরিজের পরিবেশক সংস্থা নেটফ্লিক্স একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ভারতে ওই সিরিজের ভক্তদের নানা শিল্পকলার ছবি দেখছেন অভিনেত্রী উর্সুলা করবেরো। তাতেই ছিল যাদবপুরের দালি মুখোশের গ্রাফিতি। ভিডিওতে অভিনেত্রী বলেন, ‘ওয়াও!’ সঙ্গে স্প্যানিশে বলেন, "প্রতিরোধ দীর্ঘজীবী হোক।" এই সিরিজে বার বার রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে  প্রতিরোধের কথা উঠে এসেছে। যাদবপুরের দালি-মুখোশের গ্রাফিতির নিচেও সেকথা লেখা রয়েছে। 

আরও পড়ুন- হাজারো পুরুষের সঙ্গে জুড়েছে নাম, কার সঙ্গে প্রেম করছেন মিঠাই, চিনে নিন 'First Love'-কে

 

View post on Instagram
 

 

আরও পড়ুন-'ব্রা' ছাড়াই অন ক্যামেরায় আগুন জ্বালালেন মৌনি, বক্ষযুগল থেকে নাভির খাঁজে চোখ আটকে ভক্তদের

আর উর্সুলা করবেরোকে এই গ্রাফিতির প্রশংসা করতে দেখে খুব খুশি আরাত্রিকা। তিনি বলেন, "অনেক ওয়েব সিরিজই আমাদের প্রিয়। কিন্তু সব সিরিজে তো এমন প্রতিরোধের কথা থাকে না। যাদবপুরও রাজনৈতিক, সামাজিক যে কোনও অনুশাসনের বিরুদ্ধে বরাবর প্রতিরোধ করে এসেছে। তাই মনে হয়েছিল, এই ছবির জন্য যাদবপুরের দেওয়ালের চেয়ে উপযুক্ত ক্যানভাস আর কিছু হয় না। ওই ভিডিয়ো দেখে এত খুশি হয়েছিলাম, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। স্বপ্নেও ভাবিনি, এমনটা হবে। আমাদের আঁকা টোকিয়োর কাছে পৌঁছে যাবে।" 

আরও পড়ুন-নুসরতের সন্তানের বাবার দায়িত্ব কি নিচ্ছেন যশ, এবার ঈশানের ডাকনাম ফাঁস করলেন 'সহবাস' সঙ্গী

ওই গ্রাফিতি তৈরি করতে গোটা দিন লেগেছিল। সকাল থেকে শুরু করার পরে শেষ হতে বিকেল গড়িয়ে যায়। বিদুর কথায়, "দু’জনে মিলে পুরো কাজটা করেছি। তবে মূল কাজটা আরাত্রিকাই করেছে।" যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন এই গ্রাফিতি খুবই জনপ্রিয়। বহু পড়ুয়াকে এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। 

YouTube video player