সংক্ষিপ্ত
মাঝপথেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ মিনিটের বেশি কথা বলতে দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবির ফ্যাক্ট চেক করেছে কেন্দ্র।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক মাঝপথেই বয়কট করে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। তাঁর বক্তব্যের মাঝপথেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ মিনিটের বেশি কথা বলতে দেয়নি। এতে তিনি অপমাণিত বোধ করেছিলেন। কিন্তু কী বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
মমতার বক্তব্যঃ
নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝপথেই বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নৈতৃত্বেই নীতি আয়োগের বৈঠক হয় দিল্লিতে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে মমতা অভিযোগ করেন, তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। অপমান করা হয়েছে। কথা বলার সুযোগ না পেয়েই তিনি বৈঠক ত্যাগ করেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় বাজেট রাজনৈতিক ও পক্ষপাতমূলক।
মমতা বলেন, 'আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে আমাকে অপমান করা হয়েছে।' মমতা আরও বলেন, 'অন্যদের ২০ মিনিটের বেশি বলার সুযোগ দেওয়া হলেও আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। তা আগেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বঞ্চনার প্রতিবাদেই আমি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি। 'যদিও যাওয়ার আগেই মমতা এই আশঙ্কাই করেছিলেন। তিনি বলেন, যদি মাইক বন্ধ করে না দেয় তাহলে বলব। আর যদি বলতে না দেয় তাহলে বেরিয়ে আসব। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের সাত জন মুখ্যমন্ত্রী বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেছেন। কিন্তু তারপরেও শনিবার মমতা বৈঠকে যোগ দেন। ,সেই কথা তুলে মমতা বলেন বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই বৈঠকে ছিলেন। তাও তাঁকে কিছু বলতে দেওয়া হল না। মমতার অভিযোগ তিনি যখন পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চনার কথা বলেন, তখনই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র সরকারের বক্তব্যঃ
এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের বক্তব্য রাখে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাবি বিভ্রান্তিকর। সংস্থার ফ্যাক্টচেট করে বলে, ঘড়িটি কেবল দেখিয়ে দিয়েছিল, তাঁর কথা বলার সময় শেষ হয়েছে। পাশাপাশি কথা বলা বন্ধ করার জন্য কোনও ঘণ্টাও বাজান হয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকারে আরও বেশ কয়েকটি সূত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের দাবির বিরোধিতা করেছে। বলেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সাত নম্বরে বলতে দেওয়া হয়েছিল। কারণ তাঁর রাজ্যে ফেরার তাড়া ছিল। অন্য একটি সূত্র বলছে, মমতা কথা বলার সময় মাইক বন্ধ করা হয়নি। তাঁকে আবার দুপুরের খাবার পরে কথা বলার অনুরোধ জানান হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারে একাধিক সংস্থা মাইক বন্ধ করে দেওয়ার দাবি অস্বীকার করেছে।