সংক্ষিপ্ত
তেতুল মোটামুটি সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে গরমকালে কাঁলো তেঁতুল অর্থাৎ যে তেঁতুল রোদে শুকিয়ে রাখা হয় সেই তেঁতুল খওয়া খুবই উপকারী।
তেঁতুল- শব্দটাতেই জিভে জল অনে দেয়। অনেকেই মনে করেন তেঁতুল শুধুই স্বাদ আনে। ফুচকা থেকে শুরু করে চাটনি - সবেতেই ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার সাম্বার ডাল বা অন্য যে কোনও পদ রান্নার জন্য তেঁতুল ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি কী জানেন তেঁতুল একটি উপাদেয় ফল। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই তেঁতুল গরমে অত্যান্ত উপকারী।
তেতুল মোটামুটি সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে গরমকালে কাঁলো তেঁতুল অর্থাৎ যে তেঁতুল রোদে শুকিয়ে রাখা হয় সেই তেঁতুল খওয়া খুবই উপকারী। এই তেঁতুল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদরোগীরা রোজ একটু করে কালো তেঁতুল খেতে পারেন। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে - যা গর্ভাবতীদের উপকার করে। তেঁতুল কোলেস্টোরল কমায়। হজমে সাহায্য করে তেঁতুলের শরবত। নিয়মিত ১০০ গ্রাম তেঁতুল আপনি খেতেই পারেন। তাতে কোনও অপকার হয় না উল্টে উপকারই পাবেন। তেঁতুলে জলীয় পদার্থ থাকে। প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ থাকে।
বিজ্ঞানীদের মতে কাঁচা তেঁতুল খাওয়ার থেকে পাকা তেঁতুল অর্থাৎ কালো হয়ে যাওয়া তেঁতুল খাওয়া খুবই ভালো। হজমের পাশাপাশি সর্দি ও কাশি সারাতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। পুরনো তেঁতুল আমাশা সারিয়ে দিতে পারে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাঁরা রোজ এক গ্লাস করে তেঁতুলের শরবত খেলে উপকার পাবেন। তবে কাঁচা তেঁতুলও কিন্তু ফেলে দেবেন না। ব্যাথা সারাতে এটি অব্যর্থ।
তেঁতুল খাবেন কী করেঃ
এমনিতেই তেঁতুলের আচার প্রায় প্রতিটি ঘরেই থাকে। সেটাও খেতে পারেন। তবে দেখবেন রোজ মশলদার চাটনি না খাওয়াই শ্রেয়। আপনি চাইলে রোজ একগ্লাস তেঁতুলের শরবত খেতেই পারে। এক গ্লাস জলে তেঁতুল গুলে একটি চিনি আর একটু নুন দিয়ে খেতে পারেন। চাইলে মশনাও দিতে পারে। তবে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারে কাঁলো তেঁতুলের চাটনি।
উপকারণঃ
কালো তেঁতুল- ২০ গ্রাম
১ টেবিল চামচ তেল
১ চা চামচ কালো সরষে
১টি শুকনো লঙ্কা
পরিমান মত নুন চিনি (চিনির পরিবর্তে চাইলে গুড় দিতে পারেন)
প্রণালীঃ
প্রথমে তেঁতুল একটি বাটিতে গুলি রেখে দিন। যদি দানা খেতে না চান তাহলে ছেঁকেও নিতে পারেন। কড়াইতে তেল দিন। গরম হলে কালো সরষে আর শুকনো লঙ্কা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। তারপরই গোলা তেঁতুল ঢেলে দিন। যদি চান এই সময় একটু হলুদ দিতেই পারেন। শুকনো যদি রাখতে চান তাহলে তেঁতুলের কাথটাই দেবেন। জল মেশাবেন না। আর যদি ঝোল খেতে চান তাহলে একটু জল মিশিয়ে নাড়াচাড়া করুন। ফুটে উঠলে কড়াইতেই নুন আর চিনি দিয়ে নামিয়ে দিন।
তেঁতুলের এই চাটনি ইচ্ছে করলে ফ্রিজে তিন থেকে চার দিন রেখে দিতে পারেন। কোনও সমস্যা হয় না।