সংক্ষিপ্ত
আম পান্নাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, সেই সঙ্গে এটি ত্বকও উজ্জ্বল করে। এটি তৈরি করা খুবই সহজ।
আমের পান্নার মত পদ তৈরি করা খুবই সহজ। এটি তৈরি করতে আপনার বেশ কিছু কাঁচা আম লাগবে। এটি শুধু পান করতেই সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এটি খুবই উপকারী। গরমে প্রতিদিন আম পান্না পান করলে হিটস্ট্রোকের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
কাঁচা আম বাজারে প্রচুর বিক্রি হয়। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও আমের টক-মিষ্টি পান্না উপভোগ করতে পারবেন এই আম থেকে। এটি শুধু পান করতেই সুস্বাদু নয়, এটি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও উপকারী বলে বিবেচিত হয়। আমের পানীয় শরীরে জলের পরিমাণের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাপের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১ ও বি-২, ভিটামিন সি, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, কোলিন এবং পেকটিন, যা তাপের কারণে ক্লান্তি দূর করে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়।
আম পান্নাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, সেই সঙ্গে এটি ত্বকও উজ্জ্বল করে। এটি তৈরি করা খুবই সহজ। গরমে প্রতিদিন আমের পান্না পান করে হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা থেকে বাঁচতে পারেন।
আম পান্নার জন্য উপকরণ
চার থেকে পাঁচটি কাঁচা আম, এক লিটার জল, চিনি ১০০ গ্রাম, পুদিনা পাতা মিহি করে কাটা বা এক থেকে দেড় চা চামচ পুদিনা গুঁড়ো, বিট নুন স্বাদমতো, এক চা চামচ ভাজা জিরে।
কিভাবে আম পান্না বানাবেন
– আম পান্না বানাতে প্রথমে কাঁচা আম ধুয়ে প্রেসার কুকারে রেখে এক বা দুই শিস দিয়ে অল্প জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন।
-এরপর একটি পাত্রে জল সহ কাঁচা আম বের করে সেই জলে আম ভালো করে চটকে নিন। এরপর এর খোসা ও আঁটিগুলো আলাদা করে নিন। এর পরে আপনি এক লিটার জলে চিনি গলিয়ে মিশিয়ে নিন।
- চিনি গলানোর পর তাতে জিরের গুঁড়ো, কালো লবণ ও ভাজা জিরে দিন। পাশাপাশি পুদিনা গুঁড়ো যোগ করুন। যদি পুদিনা পাতা থাকে, তাহলে এটি সূক্ষ্মভাবে কাটা হতে হবে।
-এরপর এই জলে আমের পাল্পের জল ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা হওয়ার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। আমের পান্না তৈরি, ঠান্ডা হয়ে গেলে নিজে পান করুন এবং পরিবারের অন্য সদস্যদেরও দিন।