সংক্ষিপ্ত
অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী থাকল ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ মাঝ পথে বন্ধ করে দিল পুলিস। কোভিড বিধি না মানাতেই এমন পদক্ষেপ ব্রাজিল প্রশাসনের।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্য়াচ সাক্ষী থাকল লজ্জাজনক ঘটনার। কোভিড বিধি না মানার কারণে ম্য়াচ তলাকালীন মাঠে নেমে খেলা বন্ধ করে দিল পুলিস ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। যা নিয়ে মাঠের মধ্যেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় ম্য়াচ। অভিযোগ, আর্জেন্টিনা দলের ৪ ফুটবলার এমি মার্টিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, গিওভানি লো কেলসো এমি বুয়েনডিয়ার ব্রাজিলের কোভিড বিধি ভেভে ইংল্যান্ড থেকে ব্রাজিলে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। ভুল তথ্য দিয়েছিলেন অভিবাসন দফতরে।
ব্রাজিলের নিয়ম অনুযায়ী,কোভিডের কারণে লাল তালিকাভুক্ত কোনও দেশ থেকে ব্রাজিলে এলে ১৪ দিন নিভৃতবাসে থাকতেই হবে। ব্রাজিল দলেও সেই কারণে প্রথম একাদশে ছিলেন না নয় ফুটবলার। আর ব্রাজিলের লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলির তালিকায় রয়েছে ইংল্যান্ডও। কিন্তু এই চার ফুটবলার মিথ্যে তথ্য দিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য আধিকারিক আন্তোনিয়ো বাররা টোরেস বলেছেন,'আমরা ঘচনার কথা দেরিতে হলেও জানতে পারি। কিন্তু ম্যচের দিন টিম হোটেলে গিয়ে তাদের পাইনি। তারা ম্যাচ খেলতে স্টেডিয়ামে পৌছে গিয়েছিল। তাই বাধ্য হয়েই ম্যাচ শুরু হওয়ার পর আমাদের তা থামাতে হয়েছে।' মাঠে পুলিস ঢুকে খেলা বন্ধ করার পর মেসি সহ অ্যান্য ফুটবলাররা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত দল নিয়ে মাঠ ছাড়তে মেসিকে।
কিন্তু ঘটনায় ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও উঠছে প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ। কারণ ব্রাজিলে দলের সঙ্গে ওই চার ফুটবলার যোগ দেওয়ার পর তিন অনুশীলন করল, ম্যাচ খেলতে নেমে গেল তারপর টনক নড়ল প্রশাসনিক কর্তাদের। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচ প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন পয়েন্ট দেওয়া হতে পারে আর্জেন্টিনাকে। কারণ কনমেবলের নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে ফুটবলারদের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না। ম্যাচ সংক্রান্ত কোনও ঝামেলা থাকলে তা মেটাতে হবে ম্যাচের আগেই। সেক্ষেত্রে বিপক্ষ দলকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হবে।
কোপা আমেরিকা ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর এই ম্য়াচকে ব্রাজিল বদলার ম্যাচ হিসেবে। কিন্তু ম্য়াচ চিত্রনাট্য যে এরূপ লেখা হবে তা হয়তো ভাবননি কেউ। বর্তমানে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে লাতিন আমেরিকার গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। যদি এই ম্যাচ আর্জেন্টিনাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, তাহলে ব্যবধান অনেকটাই কমবে দুই দলের। তবে এক্ষেত্রে নিজেদের যুক্তিও সাজাচ্ছে ব্রাজিলের ফুটবল সংস্থা। বল এখন ফিফার কোর্টে। শেষ সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।