সংক্ষিপ্ত
গোল লাইন টেকনোলজি, ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির পর এবার কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ (Qatar World Cup 2022) -এ আরও এক নতুন প্রযুক্তি (technology)আনতে চলেছে ফিফা। অফসাইডের নির্ভুল সিদ্ধান্তের জন্য প্রয়োগ করা হবে সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি।
যত দিন এগোচ্ছে ততই ফুটবলে বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। আগে মনে করা হত অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার ফুটবলের ম্য়াচের গতি ও উন্মদনা দুইতে ঘাটতি ঘটাবে। কিন্তু একটি ভুল সিদ্ধান্ত য়েখানে ম্য়াচের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারে, সেখানে আধুনিক ফুটবলে নির্ভুল সিদ্ধান্তের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আমাদের কলেরই জানা যে ২০১০ বিশ্বকাপে জার্মানি বনাম ইংল্য়ান্ড ম্যাচে ফ্র্যাঙ্ক লাম্পার্ডের শট লাইনের ভিতরে পড়লেও তা বাতিল করে দিয়েছিলেন রেফারি। পরে দেখা যায় সেটি গোল ছিল। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। পরের বিশ্বকাপেই আনা হয় গোল লাইন প্রযুক্তি। ২০১৮ বিশ্বকাপে চালু হয় ভার পদ্ধতি অর্থাৎ ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি। যার সাহায্যে অফ সাইড, ফাউল, হ্যান্ডবল সহ নান বিষয় নিয়ে আরও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রেফারিরা। এবার ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ আরও একটি নতুন প্রযুক্তি আনতে চলেছে ফিফা।
মরুদেশে বিশ্বকাপে যে আধুনিক প্রযুক্তি আনচে চলেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্যা তাতে গোল করার কাজ আরও কঠিন হতে চলেছে মেসি, রোনাল্ডো, নেইমাপ, এমব্যাপে, হ্যারি কেনদের। ফুটবলের সবথেকে বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে সবার উপরে থাকে অফসাইড। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক লেগেই থাকে। বিশ্বকাপের মঞ্চে যাতে তা নিয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি না হয় সেই কারণে ফিফা এমন প্রযুক্তি আনতে চলেছে যাকে ফাঁকি দিয়ে অফসাইডে গোল করে চলে যাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। যার নাম সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি। সামান্য তম অফসাইডে থাকলেও প্রযুক্তিতে তা ধরা পড়ে যাবে। ফলে সেই গোল তখন বাতিল হয়ে যাবে। ফল গোল করে কাতার বিশ্বকাপে উল্লাস করার আগে একবার ওই প্রযুক্তির দিকে নজর রাখতে হবে সকলকেই।
সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি বা এসএওটিতে বলে লাগানো থাকবে অত্যাধুনিক সেন্সর। এছাড়া গোটা মাঠ জুড়ে থাকবে একাধিক ক্যামেরা। ফলে সহজেই স্টেডিয়ামের থ্রিডি স্ক্রিনে সব ঘটনা ফুটে উঠবে, যাতে দর্শকরা আম্পায়ারদের নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণ বুঝতে পারেন। কাতারের স্টেডিয়ামগুলির ছাদে ১২টি ক্যামেরা লাগানো থাকবে, যা সেকেন্ডে ৫০ বার ফুটবলারদের থেকে ২৯টি ডেটা পয়েন্ট সংগ্রহ করবে। এ ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সাহায্য নেওয়া হবে। বলের মধ্যে ‘চিপ’ থাকায় ঠিক কখন সেটিতে শট নেওয়া হচ্ছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। এতে ফুটবলারের অবস্থান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া আরও সহজ হবে। ফলে কাতার বিশ্বকাপে গোলের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ নির্ভুল সিদ্ধান্ত পাওয়া যাওয়ার বিষয়ে আসাবাদী ফিফা।