সংক্ষিপ্ত

আইএসএলের মেগা ফাইনালে (ISL Final) চ্যাম্পিয়ন হল হায়দরাবাদ এফসি। কেরালা ব্লাস্টার্সকে টাই ব্রেকারে হারাল নিজামের শহরের দল। 
 

রুদ্ধশ্বাস আইএসএ ফাইনালে শেষ হাসি হাসল হায়দরাবাদ এফসি (Hyderabad FC)। তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেও আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না কেরালা ব্লাস্টার্সের। আর প্রথমবার ফাইনাল উঠেই কেল্লাফতে করল নিজামের শহরের দল। টাইব্রেকারকে তিনটি সেভ করে নায়ক হায়দরাবাদের গোলরক্ষক কাট্টিমানি। ম্য়াচে প্রমার্থের খেলা শেষ হয় গোল শূন্যভাবে। ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে ৬৮ মিনিটে রাহুল কেপি (Rahul KP)গোল করে এগিয়ে দেয় কেরালা ব্লাস্টার্সকে (Kerala Blasters)।  কিন্তু ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ২ মিনিটে আগে  সাহিল তাভোরার (Sahil Tavora) অবিশ্বাস্য গোলে ম্যাচে সনমতায় ফেরে হায়দরাবাদ। ৯০ মিনিটে খেলার ফল ১-১  থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে খেলার ফল সমতায় শেষ হয়। অবশেষে টাইব্রেকারে কাট্টামানি ৩টি সেভ করেন ও ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় হায়দরাবাদ।

 

 

ম্য়াচের প্রথম থেকেই দুই দল গোলের জন্য চেষ্টা করতে থাকে। তবে রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার রণনীতি নেয় কেরালা ব্লাস্টার্স ও হায়দরাবাদ এফসি। ম্য়াচের শুরু থেকেই দুই দল কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি। প্রথমার্ধের ৩৯ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগ পেয়েছিলেন কেরালার ভাজকেজ। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে তাঁর জোরালো শট বারে লেগে ফিরে আসে। অপরদিকে, একই মুভে প্রতিআক্রমণে ছোটে হায়দরাবাদও। তবে সিভেরিয়োর পাস ওগবেচের পায়ে পৌঁছনোর আগেই তা কেরালা ডিফেন্ডাররা ব্লক করে দেন। ম্য়াচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে সবথেকে ভালো সুযোগ পেয়েছিল হায়দরাবাদ। ইয়াসিরের ফ্রি-কিক থেকে দ্বিতীয় পোস্টে তাঁর রান কেউ ট্রেকই করেনি। অনেকটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে জোরালো হেডারও নেন সিভেরিয়ো, তবে গিল তুখর রিফ্লেক্স দেখিয়ে শট বাঁচিয়ে দেন। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।

 

 

ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে  গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। একে অপরের বক্সে বারবার হানা দেয়। অবশেষে ম্য়াচের ৬৮ মিনিটে প্রথম গোলের মুখ খুলতে সমর্থ হয় কেরালা ব্লাস্টার্স।  খেলার গতির সম্পূর্ণ বিপরীতে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে একটি শট নেন রাহুল কেপি। শটে এমন কিছু জোর ছিল না। তবে অদ্ভুতভাবে মরশুমে সবথেকে বেশি শট সেভ করা হায়দরাবাদ গোলরক্ষক বল ধরতে গিয়েও ব্যর্থ হন। তাঁর হাতে লেগেই বল জালে জড়িয়ে গেল। কেরালা ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। গোল খাওয়ার পর শোধ করার জন্য সবরকম চেষ্টা করতে থাকে হায়দরাবাদ। ম্য়চের ৮৮ মিনিটে নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট আগে মরশুমের ফাইনালের সম্ভবত মরশুমের সেরা গোলটি করেন ফেললেন সাহিল তাভোরা। অন্তত ২৫-৩০ গজ দূর থেকে তাঁর বুলেট শট, গিলকে নড়ারই তেমন সুযোগ দেয়নি। সেই গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে হায়দরাবাদ। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হয় খেলা।

 

 

ম্য়াচের অতিরিক্ত সময়ে খেলায় ৩০ মিনিটে দুই দল জয়সূচক গোল লক্ষ্যে ঝাপায়। দুই দল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে কোনও দল আর গোল করতে পারেনি। তারপর খেলা গড়ায় টাই ব্রেকারে। টাইব্রেকারে গোলকিপার লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমানির তিনটি দুরন্ত সেভ করেন কাট্টিমানি। আর তাতে ভর করেই প্রথমাবর ট্রফি জিতল নিজামের শহরের দল।