সংক্ষিপ্ত


আইএসএল ২০২১-২২'এ চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC) বিরুদ্ধে গোয়ার (Goa) তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে (Tilak Maidan Stadium) দুর্দান্ত লড়াই করল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও, দারুণভাবে ফিরে এল লাল-হলুদ বাহিনী।

চলতি আইএসএল মরসুমের ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) দল যে বাকি দলগুলির সমকক্ষ নয়, তা এতদিনে মেনে নিয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। দলের কাছ থেকে তাঁরা দেখতে চাইছিলেন লড়াই, যা কিনা মশালবাহিনীর পরিচয়। রসদে শক্তি যাই থাকুক, তাই দিয়েই লড়াই। বুধবার গোয়ার (Goa) তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে (Tilak Maidan Stadium), সেই লড়াইটাই দেখা গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল দলের পক্ষ থেকে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC) বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও, বিরতির পরে অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের স্বাক্ষর রাখলেন সিডোয়েল, লালরিনলিয়ানারা। শেষ ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র রেখে মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল। 

অথচ, ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল চেন্নাইয়িন এফসি। খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের খাতা খুলেছিল তারা। জেরি লালরিনজুয়ালা (Jerry Lalrinzuala) তাঁর গতিতে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে পরাস্ত করেছিলেন। বাঁ দিক দিয়ে অনেকটা উঠে, সূক্ষ্ম ক্রস বাড়িয়েছিলেন সুহেল পাশার (Suhail Pasha) জন্য। প্রথম সুযোগেই শট নিতে গিয়েছিলেন পাশা, কিন্তু তাঁর পায়ের সঙ্গে বলের সংযোগ সঠিক হয়নি। তা সত্ত্বেও বলটি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার হীরা মন্ডলের (Hira Mondal) পায়ে লেগে জালের জড়িয়ে যায়। 

আরও পড়ুন - ISL 2021, জয় ফিরতে পারল না এটিকে মোহনবাগান, চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

আরও পড়ুন - SC East Bengal: ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ দিনে লাল-হলুদে নতুন ফুটবলার, সই করলেন নওচা সিং

আরও পড়ুন - Kiyan Nassiri: রাতারাতি তারকা হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে ভবিষ্যতের লক্ষ্য, সব প্রশ্নের অকপট জবাব 'জামশিদ পুত্রের'

শুরুতেই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল চেন্নাইয়িন এফসি। এই সময়, একের পর এক আক্রমণে, এসসি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে ধারাবাহিকভাবে চাপে রেখেছিল তারা। আর তার থেকেই এসে যায় তাদের দ্বিতীয় গোলও। ম্যাচের বয়স তখন ১৫ মিনিট। চেন্নাইয়িনের তীব্র চাপের মুখে ফের ভুল করেন সেই হীরা মন্ডল। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারের মিস-পাস গিয়ে পড়ে, চেন্নাইয়িন উইঙ্গার নিন্থোই মিতেই-এর (Ninthoi Meetei) পায়ে। বল পেয়েই এবং দ্রুত ইস্টবেঙ্গল বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। তারপর এক জোরালো ড্রাইভে বল জড়িয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের জালে। শটি এতটাই জোরালো ছিল, লাল-হলুদ গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya) তা আটকানোর কোনও সুযোগই পাননি।

তবে, প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিটেই খেলায় ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৪৪তম মিনিটেই একটি গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ এসেছিল ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলোর (Marcelo) সামনে। কিন্তু, তাঁর হেডারটি তিন কাঠির মধ্যে থাকেনি। তবে, গোটা লাল-হলুদ দলকে চাগিয়ে দিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬১ তম মিনিটে ড্যারেন সিডোয়েলের (Darren Sidoel) নেওয়া একটি বিশ্বমানের ফ্রি-কিক। ওই একটি শটেই তাঁর জাত চিনিয়ে দেন সিডোয়েল, দলের বাকিদেরও দারুণভাবে উজ্জীবিত করেন। 

ব্যাবধান কমতেই দেখা গেল পুরোনো দিনের সেই 'খোঁচা খাওয়া বাঘ' ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথম গোলের পরই আরও গোল করার লক্ষ্যে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় লাল-হলুদ দল। এই সময় এক গোলে এগিয়ে থেকেও মানসিকভাবে একেবারে দিশাহারা হয়ে পড়েছিল চেন্নাইয়িন ফুটবলাররা। বিশেষ করে ম্যাচের শে,দিকটা ছিল দারুণ উত্তেজনা পূর্ণ। ৯০ মিনিটে রাজু গায়কোয়াডের লম্বা থ্রো দেবজিতের হাতে লেগে চেন্নাইয়িক গোলপোস্টে লেগে বাইরে যায়। কর্নার পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ওয়াহেংবাম লুওয়াং-এর (Wahengbam Luwang) মাপা কর্নার থেকে একটি দুরন্ত হেডারে ম্যাচের ফলে সমতা ফেরান বদলি খেলোয়াড় হিসাবে মাঠে নামা লালরিনলিয়ানা হানামতে (Lalrinliana Hnamte)।