সংক্ষিপ্ত
কলকাতা ফুটবল লিগে দল নামাচ্ছে না এসসি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান। দুই প্রধানের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট আইএফএ। ঘটনায় সিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছে আইএফএ কর্তারা।
এএফসি কাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে পৌছে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। আইএসএলের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের দল। অপরদিকে শেষ মুহুর্তে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলেও, আইএসএলে খেলছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষও শেষ মুহূর্তে আইএসএলের দল গঠন নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু এই দুই-এর মাঝে দুই প্রধানের কাছে ব্রাত্য হয়ে রইল কলকাতা ফুটবল লিগ। কথা দিয়েও দল না নামানোয় এবার বাংলার ফুটবলের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ্য হতে চলেছে আইএফএ।
কলকাতা ফুটবল লিগে কল্যাণীতে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে দল নামায়নি এটিকে মোহনবাগান। যার ফলে ওয়াকওভার পেয়েছে জর্জ। অপরদিকে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে দল নামাবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। দুই বড় ক্লাবের পক্ষ থেকে কলকাতা লিগে খেলা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু না জানানোয় প্রথমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় আইএফএ। দুই ক্লাবের সিআরএস ব্লক করে দেয় আইএফএ। যার ফলে ফুটবলার সই করানো বন্ধ হয়ে যায় ইস্ট-মোহনের। পরে চিঠি দিয়ে সিআরএস খুলে দেওয়ার আবেদন জানায় কলকাতার দুই জায়েন্ট। বাংলার ফুটবলের স্বার্থে শেষমেশ তাদের সিআরএস খুলে দিলেও কলকাতা লিগ নিয়ে দুই প্রধানের অবস্থান নিয়ে অখুশি আইএফএ। তারাও এবার দ্বারস্থ হতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃএই বছর অবসর নিতে পারে একাধিক তারকা ভারতীয় ক্রিকেটার, দেখে নিন তালিকায় কারা
আরও পড়ুনঃশুধু সোনা জয় নয়, আরও অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন 'সোনার মেয়ে' অবনী, জেনে নিন আপনিও
আরও পড়ুনঃবিনা মেকআপে কেমন দেখতে ধোনি-কোহলি-রোহিতদের বউরা, দেখুন ১০ ক্রিকেটারের স্ত্রীদের অদেখা ছবি
এই বিষয়ে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়,'এখনও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ক্লিয়ার কাট করে কিছু বলেনি। আমাদের কাছে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। আমরা বাংলার ফুটবলের স্বার্থে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সিআরএস ওপেন করে দিলাম ঠিকই, কিন্তু শৃঙ্খলাভঙ্গের পদক্ষেপ নেব। আমরা এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছি। বাংলার ফুটবলে কী চলছে ওঁরও জানা উচিত।' পুরো ঘটনায় ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরোয়া ফুটবল লিগকে অবহেলা করে শুধু আইএসএল খেললেই কী বাংলার ফুটবলের উন্নতি হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।