- Home
- Astrology
- Horoscope
- পালিত হচ্ছে সংকষ্টী চতুর্থী, দুর্ভোগ কাটাতে গণেশ পুজো করুন এই বিশেষ টোটকা মেনে
পালিত হচ্ছে সংকষ্টী চতুর্থী, দুর্ভোগ কাটাতে গণেশ পুজো করুন এই বিশেষ টোটকা মেনে
দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে সংকষ্টী চতুর্থী। শুক্ল ও কৃষ্ণ উভয় পক্ষেই পালিত হয় গণেশের পুজো। শুক্লপক্ষে পালিত ব্রতকে বলে বিনায়ক চতুর্থী আর ক্ষয় প্রাপ্তির ব্রতকে বলে সংকষ্টী। তিনি অনুসারে আজ পালিত হচ্ছে সংকষ্টী চতুর্থী। সংকষ্টী চতুর্থী পালিত হবে ১৯ মে, বৃহস্পতিবার। তিথি পড়ছে ১৮ মে রাত ১১.৩৭ মিনিটে। আর তিথি ছাড়বে ১৯ মে রাত ৮.২৪ মিনিটে। আজ নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে গণেশের পুজো করলে সব কাজে সফল হবেন। তবে, সিদ্ধিদাতার কৃপা দৃষ্টি পেতে শুধু তার আরাধনা করলেই হল না। সিদ্ধিদাতার কৃপা পেতে কয়টি টোটকা মেনে পুজো করুন। আর রইল বিশেষ কিছু টোটকার হদিশ। এতে সর্বক্ষেত্রে উন্নতি ঘটবে। সৌভাগ্য লাভ করবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
খারাপের বিনাশ করতে বাড়িতে রাখুন গণেশের মূর্তি। যে কোনও পুজো পাঠ কিংবা শুভ অনুষ্ঠান শুরু আগে ভগবান গণেশের পুজো করা হয়। তাই তাঁর কৃপা পেলে জীবনের সর্বক্ষেত্রে সাফল্য পাবেন। আবার অনেকে বাড়িতে একাধিক গণেশের মূর্তি রাখেন। প্রচলিত ধারণা অনুসারে বাড়িতে ৩টির বেশি গণেশ মূর্তি রাখতে নেই। এতে দেখা দিতে পারে অমঙ্গল।
গণেশ পুজোর সময় মেনে চলতে পারেন বিশেষ টোটকা। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বর্ণিত আছে একাধিক টোটকার। শাস্ত্র মত, ভগবান গণেশের পুজো করার সময় গণেশকে হলুদ অর্পন করুন। হলুদ হল বৃহস্পতির রং। হলুদ অর্পনে গণেশ তুষ্ট হন। তাছাড়া যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে এই হলুদ দিয়ে তিলক কেটে যান। সফল হবেন।
শাস্ত্রে গণেশ মূর্তি রাখার প্রসঙ্গেও টোটকার উল্লেখ আছে। গণেশের মুখ সর্বদা বাড়ির ভিতরে রাখা উচিত। বাইরে মূর্তি রাখবেন না। এমন স্থানে মূর্তি রাখুন যাতে গণেশ আপনার ঘরের দিকে মুখ করে থাকবেন। এতে তাঁর কৃপা দৃষ্টি আপনার ওপর বর্ণিত হবে। সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে আপনার সংসার।
সম্পত্তি বৃদ্ধিতে গণেশের টোটকা পালন করতে পারেন। শাস্ত্র মতে, গণেশ পুজোর সময় একটি বিশেষ টোটকা পালন করুন বিশেষ টোটকা। সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে চাইলে হলুদের একটি ছড়া হলুদ কাপড়ে বেঁধে তা গণপতি বাপ্পাকে অর্পন করুন। এতে তিনি তুষ্ট হবেন। আপনার সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই পালন করুন এই টোটকা।
শাস্ত্র মতে, গণেশের যেদিকে মুখ থাকে সেদিকে প্রবল প্রভাব পড়ে সমৃদ্ধি হয়। সে কারণে এমন স্থানে গণেশের মূর্তি কিংবা ছবি রাখুন যাতে তাঁর কৃপা দৃষ্টি আপনার পরিবারের ওপর বর্ষিত হয়। আর পুজোর সময় ভগবান গণেশের মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালান। গণেশকে মোদক নৈবেদ্য দিন। এতে তাঁর কৃপা দৃষ্টি পাবেন।
শাস্ত্র মতে সোনাকে শুভ ধাতু হিসেবে ধরা হয়। আর সোনা পড়লে জীবনের সকল বাধা কেটে যাবে। বুধবার সোনার গয়না ধারণ করুন। এতে গণেশের কৃপা পাবেন। বুধবার দিনটি গণেশকে উৎসর্গ করা হয়। এই কারণে এই দিন দেবতার পুজো করলে সৌভাগ্য লাভ করবেন। এমনকী, যে কোনও গণেশ পুজোর বিশেষ তিথিতে পালন করতে পারেন এই টোটকা।
আজ পালিত হচ্ছে সংকষ্টী চতুর্থী। এই দিন নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে গণেশের আরাধনা করলে দূর হবে সকল দুর্ভোগ। গণেশে পুজোর দিন পঞ্চপল্লবের মালা রাখুন প্রধান দরজার সামনে। এতে সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে। তাছাড়া, রোজ স্নান সেরে গঙ্গাজল ছেটান বাড়িতে। একটি পাত্রে গঙ্গাজল নিন। সেই জলে এক টুকরো হলুদ দিন। তারপর জল ছেটান বাড়ির প্রধান দরজায়। এতে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করবে বাড়িতে।
গণেশ পুজোর সময় মেনে চলুন আরও এক টোটকা। সিঁদুর দিয়ে গণেশের পুজো করুন। সঙ্গে ১১টি বা ২১ টি দুর্বা ঘাস দিয়ে গণেশের পুজো দিন। এতে জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে। শাস্ত্রে, সিঁদুরের গুরুত্ব বিস্তর। সেই সিঁদুর অর্পন করুন দেবতার পায়ে। এতে তুষ্ট হবেন সিদ্ধিদাতা গণেশ।
গণেশ পুজোর দিন তিল দান করুন। এই টোটকা পালনে সৌভাগ্য লাভ করবেন। সকল সংকট কেটে যাবে। চাইলে প্রতি বুধবার কালো তিল দান করতে পারেন। শাস্ত্রে তিল দানের উল্লেখ আছে। মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। এতে সব কাজে সফল হবেন। ভগবান গণেশকে বাধা দূরীকরণকারী এবং দুঃখ দূরকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। কথিত আছে, তাঁর পুজো করলে সকল অশান্তি থেকে মুক্তি মেলে।
পুজো করার সময় বিশেষ নিয়েম মেনে চলুন। আজ ভগবান গণেশকে জল অর্পন করবেন। আর উত্তর দিকে মুখ করে ভগবান গণেশকে জল দিন। গণেশ পুজোর দিন তিল দিন করুন। এই টোটকা পালনে সৌভাগ্য লাভ করবেন। সকল সংকট দূর হবে গণেশের কৃপায়। নিষ্ঠার সঙ্গে আজ ভগবান গণেশের পুজো করুন।