সূর্যাস্তের সময় ভুলেও এই কাজ করবেন না, হতে পারে আর্থিক ক্ষতি
আর্থিক পরিস্থিতি সুস্থ স্বাভাবিক থাক তা সকলেরই কাম্য। কিন্তু, হাজার চেষ্টা করেও অনেক সময় তা হয়ে ওঠে না। হাজার হিসেব করে চলেও নানা কারণে বাড়তি খরচ হয়ে যায়। এর সঙ্গে অসুস্থতা, পারিবারিক অনুষ্ঠান ও অন্যান্য কারণে নানা রকম খরচ লেগেই থাকে। অনেকে আবার সম্মুখীন হন আর্থিক ক্ষতির। এই সবের থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন জ্যোতিষ টোটকা (Astrological Tips)। সূর্যাস্তের সময় ভুলেও এই কাজ করবেন না, হতে পারে আর্থিক ক্ষতি।
- FB
- TW
- Linkdin
মা লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া চারটি খানি কথা কথা। কখনও বা কৃপা পেতে, তা ধরে রাখাও সহজ নয়। কথায় আছে মা লক্ষ্মী চঞ্চলা। সে কারণে তিনি স্থানে বেশিদিন থাকেন না। মা লক্ষ্মীর কৃপা পেতে সূর্যাস্তের সময় ভুলেও এই কাজ করবেন না, হতে পারে আর্থিক ক্ষতি।
সূর্যাস্তের মুহূর্তে দরজা বন্ধ রাখবেন না। শাস্ত্র মতে, এই কারণে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, সন্ধ্যায় মা লক্ষ্মীর আগমন ঘরে। তাই সূর্যাস্তের সময় দরজা বন্ধ রাখতে মা লক্ষ্মী আসতে বাধা পাবেন। এক্ষেত্রে, রোজ এই মুহূর্তটা দরজা খুলে রাখুন। এতে সকল আর্থিক সংকট কেটে যাবে।
সূর্যাস্তের সময় ছুঁচ, পেঁয়াজ, রসুন কিনবেন না। এমনকী, কেউ এই তিন দ্রব্য আপনাকে দিলেও না নেওয়াই ভালো। এতে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। মনে করা হয়, সন্ধ্যার সময় এই সমস্ত জিনিস কেনা অসুভ। আর এর প্রভাব পড়ে আর্থিক অবস্থার ওপর। সে কারণে এই কাজ থেকে বিরত থাকুন।
সূর্যাস্তের সময় ভোজন করবেন না। মহাভারত অনুসারে সূর্যাস্তের সময় খেলে আয়ু কমে যায়। তাই এই নির্দিষ্ট মুহূর্তটা এড়িয়ে চলুন। সূর্যাস্তের পর খাদ্য গ্রহণ করুন। এতে সকলের সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে।
সূর্যাস্তের সময় কারও থেকে টাকা পয়সা নেবেন না। সন্ধ্যায় টাকা পয়সা লেনদেন না করাই ভালো। এতে আর্থিক সংকটা পড়তে পারেন। ব্যবসার যে কোনও আর্থিক কাজ দিনের বেলায় করে নিন। তা না হলে দেখা দিতে পারে আর্থিক ক্ষতি। তাই আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে চাইলে মেনে চলুন এই টোটকা।
সূর্যাস্তের মুহূর্তে তুলসী গাছে জল দেবেন না। এতে হতে পারে আর্থিক ক্ষতি। রোজ সকালে স্নান সেরে তুলসী গাছে জল দিন। হিন্দু শাস্ত্রে তুলসী গাছের (Tulsi Tree) গুরুত্ব বিস্তর। এই গাছকে মা লক্ষ্মী মনে করা হয়। সে কারণে প্রতিটি বাড়িতে তুলসী গাছ রাখার রীতি ছিল।
স্নান সেরে সূর্য দেবকে জল দিন। এতে আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে। সূর্য দেবতাকে (Lord Sun) আদি দেবতা হিসেবে গণ্য করা হয়। মনে করা হয় তাঁর কৃপা পেলে সম্মান বাড়ে। ঘটে আর্থিক বৃদ্ধি। এবার থেকে রোজ সকালে স্নান সেরে সূর্য দেবতাকে জল অর্পন করুন। শাস্ত্র মতে, এতে আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে।
ঘর মোছার সময় বালতিতে ১ চামচ নুন (Salt) ফেলে দিন। সেই নুন দিয়ে ঘর মুছুন। এতে সমস্ত দোষ কেটে যাবে। ঘর মোছার জলে নুন ফেলে দিলে নেতিবাচক শক্তি দূর হবে। সঙ্গে দূর করে আর্থিক সংকট।
সকলেই চান আর্থিক সমৃদ্ধি হোক। আর্থিক বৃদ্ধির (Financial Increase) জন্য চলে কঠোর পরিশ্রম। আর্থিক বৃদ্ধি ও সঞ্চয়ের জন্য চলে হিসেব নিকেশ। কিন্তু, সবেতে যে অর্থ রক্ষা করা সম্ভব হয় এমন নয়। মা লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া চারটি খানি কথা কথা নয়। আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে চাইলে এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা।
আর্থিক উন্নতি ঘটাতে মেনে চলতে পারেন কয়টি জ্যোতিষ টোটকা। শাস্ত্র অনুসারে, মানি প্ল্যান্টে জল দেওয়ার সময় সেই জলে মেশান সামান্য দুধ (Milk)। এতে আর্থিক উন্নতি ঘটবে। জ্যোতিষ মতে, মা লক্ষ্মী দুধে তুষ্ট হন। আর মানি প্ল্যান্টকে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সে কারণে মানি প্ল্যান্টে দুধ দিলে মা লক্ষ্মী তুষ্ট হন।