তিরুপতি বালাজি মন্দিরে রেকর্ড অনুদান, একদিনে জমা পড়ল প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা
- FB
- TW
- Linkdin
লকডাউনে মন্দির খোলর পরেই অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি বালাজি মন্দিরের অনুদান রেকর্ড ছুঁয়েছে। প্রথম বারের মত একদিনে এক কোটি টাকার অনুদান জমা পড়েছে মন্দিরের কোষাগারে। এখন পর্যন্ত বালাজি মন্দিরের একদিনে অনুদানের গড় ছিল ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ। তবে ২৮ আগস্ট থেকেই দর্শনার্থীর সংখ্যা এবং অনুদানের পরিমাণ উভয়ই বাড়তে থাকে।
অনুদানের পরিমাণ করোনার সময়কালের আগে এখনকার অনুদানের অর্ধেকেরও কম ছিল। তবে এই কঠিন সময়ে এই মন্দিরের উপর মানুষের বিশ্বাস এবং আস্থা দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের ট্রাস্ট আশা করে যে এই বছরের শেষ নাগাদ অবস্থার অনেক উন্নতি হবে, মন্দিরে ভক্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।
২০ মার্চ থেকে মহামারীর কারণে মন্দিরটি সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ ছিল। এর ঠিক ৮০ দিন পরে ১১ জুন আবার দর্শন শুরু হয়েছিল। যদিও মন্দিরটি কেবলমাত্র ৪ ই জুন খোলা হয়েছিল, প্রথম তিন দিনের জন্য কেবল মন্দিরের কর্মীরা এবং তাদের পরিবারকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ১১ জুন মন্দির খোলার সঙ্গে সঙ্গে একদিনে প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকার অনুদান এসেছিল, সেদিন মন্দিরে ভক্ত সংখ্যা ছিল ৬০০০।
মার্চ মাস থেকেই প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার অনুদান জমা পড়তে শুরু করে। ১৯ মার্চ কোনও লকডাউন ছিল না, সেই দিনে প্রায় ৪২ হাজার লোক বালাজি পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি এই দিনে প্রায় ২.২২ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান জমা পড়েছিল। জানা গিয়েছে, ১১ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি টাকার অনুদান জমা পড়েছিল। ১ থেকে ১০ মার্চের মধ্যে, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভক্তের ভীড় হত মন্দিরে। পাশাপাশি অনুদানের সংখ্যাও এক দিনে তিন কোটিরও বেশি ছিল।
এই মাসে মাত্র ৪ দিন হয়েছে মন্দির খোলা হয়েছে। এর মধ্যেই প্রতিদিন প্রায় ৪ কোটিরও বেশি অনুদান জমা পড়ছে মন্দিরে। যখন মন্দিরে অনুদানের পরিমাণ একদিনে রেকর্ড ৪ কোটিরও বেশি হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি, মন্দিরটি একদিনে সর্বোচ্চ ৪.৪১ কোটি টাকার অনুদান পেয়েছি। ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারী এবং ১৯-২৮ ফেব্রুয়ারি, একদিনে ৪কোটি টাকার বেশি অনুদান পেয়েছে এই মন্দির। জানুয়ারি মাসে যার গড় ছিল দিন প্রতি তিন কোটি টাকা।
লকডাউন খোলার পরে, ১১ জুন মন্দির খোলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। মন্দিরটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাস্টের কর্মচারীদের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসতে শুরু করে। জুনে প্রায় ৮০ জন মন্দিরের কর্মচারী আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আগস্টের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ৭৫০-এর কাছাকাছি পৌঁছে যায়। কিন্তু, মন্দিরে দর্শন থামেনি বা ভক্তের ভীড়ও কমেনি।
এই মন্দিরের প্রাক্তন প্রধান পুরোহিতও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। মন্দির ট্রাস্টে মোট ২১ হাজার কর্মচারী রয়েছে। করোনার গাইড লাইনের কারণে ৬০ বছরের বেশি বয়সী কর্মচারী এবং পুরোহিতদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি নেই। তবে সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল মন্দিরে এত কর্মচারী করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেও, কোনও ভক্তই আক্রান্ত হয়নি।