- Home
- Astrology
- Horoscope
- জীবনের সকল দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে জ্যোতিষ উপায়, দশমীতে পালন করুন ফলদায়ক কয়টি টোটকা
জীবনের সকল দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে জ্যোতিষ উপায়, দশমীতে পালন করুন ফলদায়ক কয়টি টোটকা
রাত পোহালেই বিজয় দশমী। মায়ের কৈলাসে ফেরার পালা। ফের দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষা শুরু। প্রতি বছর এই পাঁচটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলে। মায়ের আগমনে সকল দুঃখ ভুলে মেতে ওঠেন আনন্দে। ভক্তি ভরে নিষ্ঠার সঙ্গে সকলে পুজো করেন মা-কে। জীবনের কোনও কঠিন সময় কাটাতে মা-ই সকলের ভরসা। সে কারণে পুজোয় যেন কোনও ত্রুটি না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখেন সকলে। তবে, শাস্ত্র মতে ভালো পেতে মায়ের আরাধনার পাশাপাশি কয়টি জ্যোতিষ টোটকা পান করুন। এতে নিষ্পত্তি মিলবে জীবনের সকল জটিলতা থেকে। কেটে যাবে জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে। তেমনই ঘটবে উন্নতি। জেনে নিন দশমীতে কী কী টোটকা পালন করলে ঘটবে উন্নতি।
- FB
- TW
- Linkdin
পুজোর সময় অঞ্জলি দেওয়ার একটি রীতি আছে। পুজোর এই কদিন সকলেই মায়ের পায়ে ফুল অর্পন করেন। মন্ত্র উচ্চারণ করে অঞ্জলি দেন। দশমীর দিন সাদা বা নীল রঙের ফুল দিয়ে মায়ের অঞ্জলি দিন। মা দুর্গাকে অপরাজিতা ফুল দিন। এতে তিনি প্রসন্ন হবেন। দেবী অপরাজিতা ফুলে তুষ্ট হন। এতে আপনার জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে।
বিসর্জনের পর কিছু টোটকা পালনে ঘটবে উন্নতি। দশমীর দিন মায়ের বিসর্জনের পর মায়ের ঘট থেকে পদ্ম নিয়ে আসুন। পুজোর সময় মায়ের ঘটে পদ্ম স্থাপন করা হয়। সেই পদ্ম নিয়ে এসে তা হলুদ কাপড়ে মুড়ে বাড়ির দক্ষিণ পূর্বে রেখে দিন। এতে ঘর থেকে সকল নেতিবাচক এনার্জি দূর হবে। পরিবারের সকলের উন্নতি হবে।
দশমীর দিন কয়েকটি জিনিস দানে মিলবে উপকার। শাস্ত্র মতে, এই তিনটি জিনিস দান করা খুবই শুভ। এই দিন তিল, শস্য ও জল দান করুন। এতে জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে। সঙ্গে পুণ্য লাভ হবে। মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। দশমীর দিন অবশ্যই দানধ্যানে মন দিন। দরিদ্র ব্যক্তিদের তিল, শস্য ও জল দান করুন।
বিসর্জনের পর কর্পূররে টোটকা পালন করতে পারেন। এই দিন বিসর্জনের পর একটি পাত্রে চন্দন, সিঁদুর, কর্পূর গো চনা নিন। তা পবিত্র স্থানের রেখে তার সামনে প্রদীপ জ্বালান। এতে আর্থিক জটিলতা থেকে মুক্তি পাবেন। আর্থিক উন্নতি ঘটবে। অর্থ সংক্রান্ত যে কোনও জটিলতা কাটাতে অবশ্যই পালন করুন এই টোটকা।
আতপ চাল ও পঞ্চশস্যর টোটকা পালন করতে পারেন দশমীর দিন। এই টোটকা বেশ উপকারী। দশমীর দিন সকালে স্নান সেরে একটি পাত্রে জল নিন। তাতে আতপ চাল ও পঞ্চশস্য ও কিছু মুদ্রা দিয়ে তা লাল কাপড়ে বেঁধে রেখে নিন। মাকে বরণ করার পর এই পাত্র পায়ে ঠেকিয়ে নিন। এই টোটকা বেশ উপকারী।
ভালো পেতে মায়ের আরাধনার পাশাপাশি কয়টি জ্যোতিষ টোটকা পান করুন। যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিংবা জীবনে উন্নতি ঘটাতে চাইলে প্রদীপের টোটকা পালন করতে পারেন। দশমীর দিন যে কোনও রাম মন্দিরে গিয়ে প্রদীপ জ্বালান। এতে জীবনে উন্নতি ঘটবে।
দাম্পত্য জীবনে দেখা দেয় নানান জটিলতা। দুটো মানুষের ভাবনার, মনের ও মানসিকতার মিল হওয়া কঠিন। মতের অমিলের কারণেই দেখা দেয় অশান্তি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন সিঁদুরের টোটকা। দশমীর দিন মায়ের পায়ে সিঁদুর ছুঁয়ে আনুন। সেই সিঁদুর নিয়মিত পরুন। এতে দাম্পত্য সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে।
জীবনের সকল বাধা কেটে যায় জ্যোতিষ উপায়। দশমীর দিন কালো কুকুরকে বেসনের লাড্ডা খাওয়ান। চাইলে বাড়িতেও বানাতে পারেন এই বেসনের লাড্ডু। দশমীর দিন বেসনের লাড্ডু খাওয়ালে ঘটবে উন্নতি। সকল জটিলতা থেকে মিলবে মুক্তি। শাস্ত্র মতে ভালো পেতে মায়ের আরাধনার পাশাপাশি কয়টি জ্যোতিষ টোটকা পান করুন। এতে নিষ্পত্তি মিলবে জীবনের সকল জটিলতা থেকে।
তেমনই পুজোর সময় কয়টি ফুল দেবীকে অর্পন করবেন না। এতে হতে পারে অমঙ্গল। শাস্ত্র মতে, চম্পা ও পদ্ম ছাড়া অন্য কোনও ফুলের কুঁড়ি নিবেদন করবেন না দেবীকে। এতে তিনি ক্রুদ্ধ হতে পারেন। তেমনই কাটসারাইয়া, নাগচাঁপা ও বৃহতী ফুল দেবেন না দেবীকে। পুজোয় দেবীকে তুষ্ট করতে ফুল নিবেদনের চল আছে। কিন্তু, সব ফুল দেবীকে দেওয়া যায় না।
মহাবিশ্বের মা হলে দেবী দুর্গা। হিন্দু ধর্মানুসারে তিনি হলেন সব থেকে জনপ্রিয় দেবী। সংস্কৃতে দুর্গা শব্দের অর্থ ‘একটি দুর্গ’ বা ‘এমন একটি স্থান যা অতিক্রম করা কঠিন’। কখনও দেবী দুর্গাকে দুর্গতিনাশিনী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যার আক্ষরিক অর্থ হল যিনি দুঃখ দূর করেন। তাই তাঁর বিদায় বেলায় পালন করুন এই কয়টি টোটকা। মিলবে উপকার।