এই মূর্তিগুলো বাড়িতে কখনোই স্থাপন নয়, আসতে পারে চরম দুর্ভোগ
আধুনিক পৌত্তলিকতা হচ্ছে একটি ধর্মিয় আন্দোলন যা প্রাক-আধুনিক ইউরোপের বিভিন্ন ঐতিহাসিক পৌত্তলিক বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত অথবা অনুপ্রাণিত। এটি সম সাময়িক পৌত্তলিকতা এবং নব্য পৌত্তলিকতা হিসেবেও পরিচিত। যদিও অনেক সাদৃশ্য দেখা যায়, তবুও আধুনিক পৌত্তলিক ধর্মিয় আন্দোলনগুলো অনেকটা বিচ্যুত এবং তারা পূর্বের বা বর্তমান কোনও বিশ্বাস, রীতি অথবা গ্রন্থকে অনুসরণ করে না। হিন্দুধর্ম মতে, মূর্তি বলতে দেবতার আবয়বকে বোঝায়। মূর্তি দেবতার প্রতিনিধি। সাধারণত পাথর, কাঠ, ধাতু অথবা মাটি দিয়ে মূর্তি নির্মাণ করা হয়। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মূর্তির মাধ্যমে দেবতার পুজো করে থাকেন। মূর্তিতে দেবতার আবাহন ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পরই হিন্দুরা সেই মূর্তিকে পুজোর যোগ্য মনে করেন।
- FB
- TW
- Linkdin
শনিদেব এর মত রাহু বা কেতু-র মূর্তি বাড়িতে রাখা বিপদ্দজনক। কারণ রাহু ও কেতু হল ছায়াগ্রহ। এই দুই গ্রহও নিষ্ঠুর বলে বিবেচিত হয়, তাই বাড়ির বাইরেই এদের পুজো করা শ্রেয় বলে মনে করা হয়।
তন্ত্রের ঈশ্বর বলে মনে করা হয় ভৈরব-কে। অর অপর নাম কাল-ভৈবর। শিবপুরাণ মনে, ভৈরব বলেন শিবের অবতার। তাই তন্ত্র সাধনার প্রধাণ এই দেবতার মূর্তি ঘরে রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়।
শনিদেব বা বড়বাবার মূর্তি কখনই বাড়িতে রাখা উচিৎ নয়। জ্যোতিষ মতে, শনিদেব এরর মূর্তি বাড়িতে রাখলে সংসারে অশুভ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হয়।
ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ঘরে নটরাজের মূর্তি রাখেন। মহাদেবের এই রূপ অত্যন্ত আকর্ষনীয়। এই নটরাজের রূপ হল শিবের ক্রুদ্ধ রূপ। তাই এই মূর্তি ঘরে না রাখাই শ্রেয় বলে মনে করেন বাস্তুবিশারদরা।
সনাতন ধর্ম মতে, যে কোনও মূর্তি যে কোনও অবস্থাতে পুজো করা যায় না। এতে হতে পারে বিপরীত সমস্যা, ঈশ্বর উপাসনা করতে গিয়ে জেগে উঠতে পারে অশুভ শক্তি।
সনাতন ধর্ম মতে, যে কোনও মূর্তি বাড়িতে কোনও অবস্থাতেই কী পূজ্য? সনাতন ধর্ম ও ভারতীয় পরম্পরা মূর্তি পুজোর বিষয়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়।