বাড়িতে একটানা সমস্যা চলছে, মুক্তি দেবে ময়ূরের পালক
দেশের জাতীয় পাখি হিসেবে নয় ময়ূরের পালক এক শুভ ও মাঙ্গলিক চিহ্ন হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। ময়ূরকে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ সর্বদা তাঁর মাথায় ময়ূরের পালককে বহন করেন। যে কোনও শুভ কাজে বা মঙ্গলের চিহ্ন হিসেবে ময়ূরের পালক ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে ময়ূর পালক রাখার অনেক সুবিধা রয়েছে। বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে তা বাড়িতে সৌভাগ্য বহন করে আনবে। এটা কি জানেন ময়ূরের পালককে কেন শুভ বা মঙ্গল বলে মনে করা হয়? মনে করা হয় ময়ূরের পালক থেকে বহু ধরণের বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক ময়ূরের পালকের ব্যবহারের উপকারীতা-
- FB
- TW
- Linkdin
বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে ময়ূরের পালক রাখা খুব শুভ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, ঘরের দরজায় ময়ূরের পালক রাখলে, নেতিবাচক শক্তি ঘরে আসে না। ঘরের দরজায় ৩ টি ময়ূরের পালক রাখতে হবে।
ময়ূরের পালক দরজায় লাগানোর সময় এই মন্ত্রটি লিখতে হবে - 'দ্বারপালায়া নমঃ জাগ্রয় স্থায়ী স্বাহঃ' এবং এর নীচে গণেশের একটি মূর্তি স্থাপন করা উচিত।
আপনার বাড়িতে কোনও আর্থিক সমস্যা থাকলেও ময়ূর পালক আপনার জন্য কার্যকর হতে পারে। যে কোনও মন্দিরে রাধা-কৃষ্ণের মুকুটে ময়ূরের পালক দান করুন। ৪০ দিনের পরে সেই পালক ফিরিয়ে আনুন। এই পালকটিকে বাড়ির অর্থ রাখার জায়গায় রাখুন। আপনার আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে।
বাচ্চাদের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে ময়ূরের পালককে খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। বাচ্চাদের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্য, ময়ূরের পালক রৌপ্য তাবিজে রেখে ছোট শিশুদের পরানো হয়।
আপনি যদি গ্রহের বাধাজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে আপনার হাতে ময়ূরের পালকটি ধরে জল স্প্রে করুন এবং ২১ বার গ্রহ শান্তির মন্ত্রটি উচ্চারণ করুন। ময়ূরের পালকটি যেখানে দৃশ্যমান সেখান থেকে একটি উপযুক্ত জায়গায় রাখুন।
ধর্মীয় বিশ্বাস বজরঙ্গবলির কপালে এই ময়ূরের পালক দিয়ে সিঁদুরের ফোঁটা দেওয়া উচিত। মঙ্গলবার এবং শনিবার ময়ূরের পালকটি দিয়ে বজরঙ্গবলিকে সিঁদুরের ফোঁটা দিতে হবে। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কাউকে বাধা না দিয়ে এই ময়ুরটি নদী বা ঝিলের জলে ফেলে দিন। মনে করা হয় যে এটি থেকে শত্রুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।