নতুন বছরে কাটিয়ে উঠুন শনির দশা, মুক্তি পান খারাপ সময় থেকে
শনিদেব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা যতই ভয়-ভীতি মিশ্রিত হোক না কেন, মৎস্য পুরাণ কিন্তু শনিদেবকে লোকহিতকর গ্রহের তালিকাতেই ফেলেছে। জ্যোতিষীদের মতে শনির কুদৃষ্টি অশুভ ফল নিয়ে আসে। সৌরজগতের শনি গ্রহ ও সপ্তাহের শনিবার দিনটি শনিদেবের নামে নামকরণ করা হয়। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় শনিদেবের পূজার্চনা করার বিধান রয়েছে। সাধারনত শনিদেবের মন্দিরে অথবা ঘরের বাইরে খোলা জায়গায় শনিদেবের পুজো হয়। নতুন বছরে যে যে নিয়মগুলি মনে রাখলে শনিদেবের কৃপা লাভ করবেন জেনে নিন। শনিদেবের পুজোর কিছু নিয়ম রয়েছে। কয়েকটি বিশেষ নিয়ম মেনে চললেই শনিদেবের কৃপাদৃষ্টি লাভ করা সম্ভব।
- FB
- TW
- Linkdin
নতুন বছরের প্রতি শনিবার করে কাজল দান করুন অথবা সঙ্গে রাখুন। শাস্ত্রমতে, শনিদেব নিজে কাজল ব্যবহার করেন তাই এদিনে কাজল দান করলে বা সঙ্গে রাখলে তিনি তুষ্ট হন।
শনির দোষ কাটাতে শাস্ত্রমতে, নতুন বছরে কালো রং-এর বস্তু দান করুন অথবা কালো রং ব্যবহার করুন। এই কয়েকটি নিয়ম প্রতি শনিবারে মেনে চলতে পারলে খুব দ্রুত আপনি জীবনের সকল বাধা কাটিয়ে উঠে, শনিদেবের কৃপাদৃষ্টি ফিরে পাবেন।
নতুন বছরের শনিবারে বড় বাবার পুজোর সময় নীল রং এর ফুল নিবেদন করুন। সেই ফুল সর্বদা নিজের সঙ্গে রাখুন, তবে শনির দোষ কেটে গিয়ে, জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তিও কেটে যাবে সহজেই।
শনি এবং রাহু উভয়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লোহা বা কাঁচের গুলি (মার্বেল) কাছে রাখতে পারলে সহজে উপকার মেলে।
নতুন বছরে মঙ্গল ও শনিবার তিল দান করুন অথবা সঙ্গে রেখে দিনি। এতে সর্বদা শনিদেব বা বড় বাবার কৃপাদৃষ্টি আপনার উপর বজায় থাকবে এবং জীবনে খুশির মুহূর্ত নিয়ে আসবে।
প্রতি শনিবার মনে করে অরহর ডাল দান করুন। এর ফলে জীবনের যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। শনিগ্রহের দশা কাটাতে নীল রং ব্যবহার করার নির্দেশ দেন জ্যোতিষীরা।