অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি দেয় কর্পূর থেকে লবঙ্গ, কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র
- FB
- TW
- Linkdin
বাড়ির বিভিন্ন কোনায় লবঙ্গ আর নুন জলের ছিটে দিলে একটি সুন্দর গন্ধ ছড়ায়। যা পরিবারের সদস্যদের মন ভালো করে দেবে পাশাপাশি অশুভশক্তির দূর করে তা শুভশক্তিকেও নিয়ে আসতে পারে। লবঙ্গের সুবাস কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।
আয়না বা ড্রেসিনটেবিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ অশুভশক্তি দূর করতে। তবে আয়নার অবস্থান সঠিক হওয়া জরুরি। ভুল জায়গায় আয়না রাখলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। আর সেই কারণেই আয়না এমন জায়গায় রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত আলো পাওয়া যায়। দজরার মুখোমুখি কোনও আয়না রাখবেন না।
ঘর পরিষ্কার অত্যান্ত জরুরি। ঘরের কখনই মাকড়সার জাল জমতে দেবেন না। মাকড়াসার জাল বয়ে নিয়ে আসে অশান্তি। আটকে দেয় পরিবারের উন্নতি। বইয়ের তাক ও আলমারি বা ওয়ার্ডড্রব গুছিয়ে রাখলে ভালো ফল পাবেন। আপনার ঘর যদি গোছানো থাকে তাহলে এমনিতেই আপনার মন ভালো তাকে। পরিপাটি ঘর দেখতেও কিন্তু সুন্দর লাগে।
বাড়ি থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর করতে অনেক বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে নুনের তুলনা হয় না। একটি কাঁচের পাত্র অল্প কিছুটা সামুদ্রিক লবন রেখে দিন। তারওপর রাখুন চার থেকে পাঁচটা লবঙ্গ। বাটিটা ঘরের এককোনায় রেখে দিলে পজেটিভ এনার্জি যেমন আসবে। তেমনই তেমনই অর্থেরও আগমন হবে।
বাড়ির জানালাগুলি দিনের বেলায় খোলা রাখার চেষ্টা করুন। তাতে একদিকে যেমন বিশুদ্ধ বাতাস ঢুকতে তেমনই নেগেটিভ এনার্জি চলে যাবে। সূর্যের আলোর উপকারিতাও অনেক। জীবাণু ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ সূর্যের আলো। সূর্যের আলো আপনার মনের হতাশাও দূর করতে পারে।
অশুভ শক্তি দূর করে গাছ গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে ও বাইরে গাছ লাগালে যা একদিক দিয়ে দেখতে সুন্দর লাগে। অন্যদিকে অক্সিজেন দেন। তবে বাস্তু অনুসারে তুলসী গাছের উপকারীতা অনেক। ঘরের উত্তর-পূর্ব কোনে তুলসীর চারা রাখুন। যা পুরো বাড়ির নেগেটিভ এনার্জি দূর করে দেবে। এছাড়াও মানিপ্ল্যান্ট গাছ রাখতেই পারেন। যা উন্নতির বার্তা দেয়।
ভারতীয় শাস্ত্র অনুযায়ী ময়ূরের পালককে শুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় এটি নেতিবাচক শক্তিকে শুষে নিতে পারে। তার ঘরে পারলে একটি ময়ুরের পালক রাখতেই পারে।
বাড়িতে জন্য উপকারী উইন্ডচাইম। নেটিবাচক শক্তির প্যাটার্ন ভাঙতের এর আওয়াজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও পুজোর সময় আপনি ঘণ্টা বাজাতেই পারেন। তাও অশুভ শক্তিকে দূর করে।
নেতাবাচক শক্তি দূর করে কর্পূর। ঘরে সকাল সন্ধ্যে কর্পূর জ্বালাতে পারে। এতে একটি সুন্দর গন্ধ পাওয়া যায়। পাশাপাশি কর্পূরের গন্ধ কাটিয়ে দিতে পারে রোগজীবাণুকেও। চন্দনের গন্ধও ভালো। তাই ধূপ ধূনো খুবই জরুরি অশুভ শক্তি দূর করতে।