'ভগবানকে দেখতে হলে আগে নিজেকে ভগবান হতে হবে', শিষ্যদের বলেছিলেন ঠাকুর
- FB
- TW
- Linkdin
১৮৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে পাশ্চাত্যশিক্ষায় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দু পুনর্জাগরণের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তৎসঙ্গে সংগঠিত করেন একদল অনুগামী, যাঁরা ১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণের প্রয়াণের পর সন্ন্যাস গ্রহণ করে তার কাজ চালিয়ে যান। এঁদেরই প্রধাণ ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
ঠাকুরের বলেছেন, যত মত, তত পথ ৷ ধর্ম বলে আলাদা কিছু নয় সব ধর্মের নদী একই সাগরে মিশবে ৷ হাজার মত কিন্তু পথ একটাই ৷
ঠাকুর বলেছিলেন "খারাপ স্বভাব খানিকটা রোগীর ঘরে আচারের মত ৷ হাজার হাজর চোখের সামনে ভাল দৃষ্টান্ত থাকলেও খারাপই বেশি টানে, যেমন ভাবে শরীর খারাপ থাকলে যা শরীরকে আরও খারাপ করে তোলে এমন খাবার খাওয়ার দিকেই আমাদের ঝোঁক বেড়ে থাকে ৷"
ঠাকুরের মতে, আমাদের মনকেও কখনই খারাপের দিকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়, তবুও আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই করে থাকি ৷
জীবনকে সুন্দর করে তুলতে দরকার মাত্র একটি মন্ত্র ৷ এক মন্ত্রেই জীবন হয়ে উটতে পারে সংগঠিত ও সুন্দর ৷ ভাল ও মন্দ নিয়েই জীবন তবে ভালবাসা দেওয়া ও নেওয়া ছাড়া জীবনের অন্য কোনও মানে নেই ৷
রামকৃষ্ণ পরমহংসের মত, "ভগবানকে দেখতে হলে আগে নিজেকে ভগবান হতে হবে ৷ সবার আগে নিজেকে ভাল হতে হবে , তার পর অন্যের দিকে তাকাও ৷ নিজে ভাল না হলে অন্যকে ভাল করবে কী করে ৷"
তিনি বলেছেন, স্বভাব হল খানিকটা জলের মত। জল যেমন সহজেই নীচের দিকে নেমে যায়, তেমনই স্বভাবও খুব তাড়াতাড়ি নিম্নগামী হয়ে থাকে ৷ এমন কিছু করতে হবে যা সত্যিই অন্য কারোর কাছে এক বিশেষ মাত্রা নিয়ে আসে। অন্যের থেকে নিজের উপস্থিতি আলাদা হয়ে থাকে৷